Madhyamik Examination – মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা নিয়ে কড়া নিয়ম জারি, এতে পরীক্ষার্থীদের অযথা টেনশনের কারণ নেই।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৩ বা Madhyamik Examination. পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয়, ইতিমধ্যেই সেই জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এর আগেও তোলা হয়েছিল। চলতি বছরেও আবার একই অভিযোগ উঠলো। যার জেরে পরীক্ষার দিনগুলিতে নিয়মাবলী আরো কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিলো পর্ষদ। ঠিক কি অভিযোগ করা হয়েছে?গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষার পর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপরই সোমবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় ৮ দফা নির্দেশ দিলেন।
Madhyamik Examination এর নিয়ম কি কি হল?
Madhyamik Examination এর দিনগুলি পরীক্ষার্থীদের কোন কোন নির্দেশ মানতে হবে?
পর্ষদের নতুন নিয়মাবলী অনুসারে,
১) পরীক্ষাকেন্দ্রের দরজায় পুলিশকর্মীরাও উপস্থিত থাকবেন। পূর্বে এই কাজের দায়িত্ব ছিল কেবলমাত্র শিক্ষকদের উপর। বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীরাও পরীক্ষার্থীরা সঙ্গে মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করছেন কিনা তা দেখবেন।
২) Madhyamik Examination এর কেন্দ্রে নজরদারি চালানোর দায়িত্বে যারা থাকবেন, তারা যাতে পুরো শ্রেণিকক্ষে নজর চালাতে পারেন, তারজন্য পরীক্ষাকেন্দ্রের জানালা খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩) পরীক্ষাকেন্দ্রে যারা নজর রাখার দায়িত্বে থাকবেন, তাদের মোবাইল ফোন নির্দিষ্ট জায়গায় জমা রাখছেন কি না, তা লগবুকে লিখে রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ট্রেন, পরীক্ষার দিনগুলিতে নতুন ট্রেনের টাইম টেবিল ও তালিকা দেখুন।
উল্লেখ্য, পরীক্ষাকেন্দ্রে অচেনা ব্যক্তির প্রবেশাধিকার রুখতেও পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।
মূল ঘটনা কি ঘটেছে?
শুক্রবার Madhyamik Examination এর ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালীন ১টা ৪২ মিনিট নাগাদ ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ৩টি পাতার ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন সুকান্ত মজুমদার।
পাল্টা কি জবাব পর্ষদের?
সেই ছবি যে প্রশ্নপত্রেরই তা স্বীকার করে নিয়েছিল পর্ষদ। এরপর পর্ষদের তরফে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার বার্তা দেওয়া হয়। যদিও পরে পর্ষদের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, এটা প্রশ্নফাঁসের ঘটনা নয়, পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়, খতিয়ে দেখার জন্য।
পর্ষদের তরফে আরো দাবি করা হয়, শুক্রবার পরীক্ষার্থীদের বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। এরপর নিয়ম অনুসারে ১২টায় শুরু হয় পরীক্ষা। কিন্তু যখন ছবি তোলা হয়েছিল, পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেখানেই উপস্থিত ছিলেন। তাই পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হয়নি।
তাছাড়া সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই নিয়ে একাংশের মত, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট পরে পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে বেরোতে পারেন পরীক্ষার্থীরা। আর সেখানে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১ ঘন্টা ৪২ মিনিটের মাথায় প্রশ্নপত্রের ছবি ফাঁসের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাই পর্ষদের উপর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ কার্যত করা যায় না, বলে মত তাদের।
যদিও সোমবার আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করল পর্ষদ। তবেই অনেকেরই মত, পুলিশের সাহায্যে তল্লাশি এই প্রথমবার হচ্ছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের জন্য এই নতুন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, সবাই দারুন খুশি।
তাছাড়া অনেকেই মনে করছেন, বিধি-নিষেধ জারি করার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলিও মাথায় রাখা আবশ্যক।
পর্ষদের একাংশের মত অনুসারে, অসুস্থ পরীক্ষার্থী, বিশেষ করে হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন, সেই সকল পড়ুয়ারা, তাদের জন্য এই বিধিনিষেধ কমজোর হয়ে পড়ছে। তাই এই দিকটিও বিশেষ ভাবে দেখা দরকার। প্রয়োজনে এই সব জায়গায়ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Invigilators should guard exam centre strictly .