West Bengal – রাজ্যে চালু হল সমস্যা সমাধান জনসংযোগ কর্মসূচী। এবার পাবেন দুয়ারে সরকারের ডবল সুবিধা।
আবার একটি নতুন প্রকল্প নিয়ে হাজির পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (West Bengal CM Mamata Banerjee). এমন অনেকে আছে যারা দুয়ারে সরকার শিবিরে (Duare Sarkar Camp) নানা কল্যাণমূলক প্রকল্প গুলোতে নাম নথিভুক্ত করতে পারেনি। এর ফলে একের পর এক প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। এই ধরনের বহু অভিযোগ জমা পড়ছে সরকারি অফিসে। তবে এখন আর চিন্ত নেই মুখ্যমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধান (Samasya Samadhan) নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছে।
West Bengal Samasya Samadhan Jan Sanjog Programme.
আপনিও যদি বঞ্চিত হয়ে থাকেন তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেই কাজ সারতে পারবেন। কিসেই কাজ দেখে নিন। রাজ্য সরকার (West Bengal Government) তার বিভিন্ন কল্যাণকর প্রকল্প গুলোতে (West Bengal Govt Scheme) নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য দুয়ারে সরকার শিবির চালু করেছিল। কিন্তু সেই শিবিরেও নাকি অনেকে নাম নথিভুক্ত করতে পারেনি এমন আভিযোগ এসেছে। তাই এবার রাজ্য সরকার নতুন একটি প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে।
রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পর নাম নথিভুক্ত করতে সহায়তা করার জন্যে ক্ষুদ্র স্তরে একটি নতুন কর্মসূচি ঘোষনা করছে। 20শে জানুয়ারি থেকে 12ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে বুথ স্তরে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হবে। তার মতে, যাতে কেউ বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়। লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) এবং কৃষক বন্ধুর (Krishak Bandhu) মতো কল্যাণমূলক প্রকল্পের আওতায় যাদের এখনও আনা হয়নি তারা নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন (West Bengal).
প্রতিটি জেলায় ব্লক ভিত্তিক একটি করে ক্যাম্প তৈরি করা হবে। প্রান্তিক এলাকা থেকে শুরু করে পাহাড়ি অঞ্চল, পিছিয়ে পরা জনবসতি এলাকা, চা বাগান ইত্যাদি এলাকার মানুষ তাদের সমস্যা নিয়ে ক্যাম্পগুলোতে হাজির হতে পারবেন। আর এই ক্যাম্প থেকে গ্রাম গুলোতে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌছে দেওয়া হবে। প্রতিদিন কতজন করে আবেদনকারী ক্যাম্পে (West Bengal) আসছেন, তার উপর নির্ভর করে প্রতিটি ব্লকে পরিষেবা প্রদানকারী টিম গঠন করা হচ্ছে।
প্রতিটি টিমে থাকবেন তিনজন করে সরকারি কর্মীদের (West Bengal Govt Employees) পাশাপাশি থাকবেন পুলিশ কর্মী, যারা সরকারি প্রকল্পে আবেদন কিংবা কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনী ফর্ম, আবেদনপত্র নিয়ে মানুষের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর এবং সমস্যার সমাধান দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, “বুথ স্তরে প্রতিটি জনসংহতি কর্মসূচির শিবিরে তিনজন সরকারি কর্মকর্তা থাকবেন।
পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরাও শিবির গুলিতে যেতে পারেন এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মতো সুবিধাগুলির জন্য তাদের নাম রেজিস্টার করতে পারেন। যদিও কিছু উচ্চপদস্ত সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন যে এই নতুন কর্মসূচিটি তাদের জন্যে কার্যকর হবে যারা এখনো প্রকল্প গুলোতে নাম নথিভুক্ত করেননি তাদের জন্যে। দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে বেশিরভাগ যোগ্য ব্যক্তিদের প্রকল্প গুলোতে নাম নথিভুক্ত করা হয়ে গিয়েছে (West Bengal).
যেহেতু 90% বেশি মানুষ এরই নাম নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছে তাই গত বছরের ডিসেম্বর মাসের দুয়ারে সরকার শিবির গুলোতে ভিড় কম ছিল। কেউ কেউ এই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন যে জনসংযোগ কর্মসূচির মাধ্যমে যারা তাদের নাম নথিভুক্ত করবে তাদের কে কি ঠিক মত সুবিধা দিতে পারবে সরকার? এক সরকারি আধিকারিক বলেন।বিগত দুয়ারে সরকার শিবিরে বার্ধক্য ভাতা এবং বিধবা পেনশনের মতো বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করা প্রায় 30 লক্ষ লোককে সরকার সুবিধা দিতে পারেনি (West Bengal).
পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে বড় খবর। সুবিধা পেতে হলে দেখুন।
এখন যদি আরও কয়েক লক্ষ মানুষের নাম উপকারভোগীদের তালিকায় যুক্ত করা হয়, তাহলে রাজ্যের পক্ষে তাদের সুবিধা দেওয়া কঠিন হবে। গত বছর সেপ্টেম্বরে দুয়ারে সরকার শিবিরে নাম নথিভুক্ত করার পরেও অনেক লক সুবিধা পাননি বলে এমন অভিযোগ বাড়ছে জেলায় জেলায়। আর এই ঘোষণার ফলে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মানুষদের আরও সুবিধা হতে চলেছে।
Written by Ananya Chakraborty.
প্রকাশ হলো প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নামের তালিকা! কে কে টাকা পাবে?