Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা পাবেন না! আসল কারণ জানালো পশ্চিমবঙ্গ সরকার
রাজ্য সরকারের দুর্দান্ত একটি প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar). মহিলাদের জন্য চালু করা এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প খুব জনপ্রিয় হয়েছে। অনেকে এইটাও মনে করছেন তৃণমূল সরকারের ভোটে জেতার পেছনে প্রধান কারন হল মহিলা ভোট। আর এই মহিলা ভোট এসেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য!! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) কাছে সত্যি লক্ষ্মী এমনটা মনে করছেন অনেকে (Government of West Bengal).
Big Update on Lakshmir Bhandar Money.
এই Lakshmir Bhandar প্রকল্পে যখন প্রথম চালু করা হয় তখন এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার সাধারন শ্রেনীর মহিলাদের 500 টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি মহিলাদের 1000 টাকা করে দেওয়া হত। তবে এতে সাধারন শ্রেনীর মহিলাদের মধ্যে কিছুটা হলেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল, কারন 500 টাকা দিয়ে বর্তমানে কিছুই হয় না। তাই এই ক্ষোভ প্রশমন করে দিয়েছে সরকার। চলতি বছর রাজ্য বাজেট অধিবেশনের দিন এই প্রকল্পের ভাতার পরিমান বাড়িয়ে দেয় সরকার।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় খবর!
এখন এই Lakshmir Bhandar প্রকল্পের মাধ্যমে 1000 টাকা সাধারন শ্রেনীর মহিলাদের আর 1200 টাকা তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের দেওয়া হয়। তবে এবার রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিল কত গুলো নথি না থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যাবে না, এছাড়াও এই নথি ছাড়া আবেদন করলে টাকা নাও পেতে পারেন সকলে। কি কি নথি লাগবে দেখে নিন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা
2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মহিলাদের হাতে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট টাকা দেওয়া হবে আর সেই মত ভোটে জিতে এই প্রকল্প চালু করেন। Lakshmir Bhandar প্রকল্প চালু হওয়ার পর এই প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ শুরু হয় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প (Duare Sarkar Camp) থেকে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন শুরু হওয়ার থেকেই লক্ষ লক্ষ মহিলা আবেদন করতে শুরু করেন।
এই নথি ছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করা যাবে না?
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের পরে বিভিন্ন জায়গায় BDO অফিস, পৌরসভা, SDO অফিসেও আবেদন করা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনের সংখ্যা প্রায় 2 কোটি। বর্তমানে এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের 1000 ও 1200 টাকা করে ভাতা (Lakshmir Bhandar Allowance) দেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে আর কিছু নথি সঙ্গে নিতে হবে নাহলে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনের নথিপত্র
সবার প্রথমে মহিলাদের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে, তারপরে 25 বছর বয়স হতেই হবে। এছাড়াও কিছু কিছু নথি খুব প্রযোজন সে গুলো হল- আবেদন কারী মহিলার আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড এই গুলো না থাকলে Lakshmir Bhandar প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। এছাড়াও যারা তপশিলি জাতি ও উপিজাতির অন্তর্গত তাদের কাস্ট সার্টিফিকেট লাগবে।
জিও গ্রাহকরা পাবে ডবল বেনিফিট! সবাইকে চমকে দিয়ে ঘোষণা করলো Jio
এটা ছাড়া তাদের বাড়তি টাকা দেওয়া হবে না। কাস্ট সার্টিফিকেট না থাকলে সেই মহিলাকে সাধারন শ্রেণী হিসেবে ধরা হবে। তাই যারা ভাবছেন আবেদন করবেন তারা এই সব নথি নিয়ে অবশ্যই যাবেন। আর আগামী দিনে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন (Lakshmir Bhandar Apply) শুরু করা হবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
Written by Ananya Chakraborty.