TET Scam – শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফেঁসে গেলেন আরো 5000 শিক্ষক, 10 দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) নিয়ে ফের নতুন মামলা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court). ফের এরকম আরেকটি মামলায় নতুন নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) একের পর এক মামলার জটিলতা ধীরে ধীরে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াকে (Primary Teacher Recruitment Process) স্তব্ধ করে দিচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোনো মামলারই সেই অর্থে ফয়সালা হতে দেখা গেল না। শুধু একের পর এক আদালতের তরফে নির্দেশ আসছে। তার শুনানি চলছে, আর মামলার জটিলতা বেড়েই চলেছে।
West Bengal TET Scam New Case File In Kolkata High Court.
এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ১০ দিনের মধ্যে (Primary Teachers Recruitment Case) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার (TET Scam) শুনানিতে আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, কিভাবে NCTE (National Council For Teacher Education) গাইডলাইন না মেনে ৫০০০ শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে?
কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের তরফে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় (WB TET Scam) অভিযোগ করে বলা হয়, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ৫০০০ শিক্ষক চাকরি করছেন, যারা গাইডলাইন মেনে প্রশিক্ষণ নেননি। আর এই ৫ হাজার শিক্ষককে ২০২০ সাল থেকে টানা রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal) নিয়মিত বেতন দিয়ে চলেছে।
মামলাকারীদের বক্তব্য, ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) তরফে ১৬ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি (TET Recruitment Notice) প্রকাশ করা হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা ছাড়াও বি এড (B.Ed) প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। তারপরেই ৫০০০ শিক্ষক যারা নিয়োগ পেয়েছেন, দেখা গিয়েছে তারা সকলেই B.Ed ডিগ্রিধারী। কিন্তু গাইডলাইন অনুযায়ী এই বি এড ডিগ্রিধারী (TET Scam) শিক্ষকদের ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স করা বাধ্যতামূলক।
কিন্তু তারা এখনো পর্যন্ত সেই প্রশিক্ষণ নেননি। ফলে গাইডলাইন না মেনে এই শিক্ষকেরা কিভাবে চাকরি করছেন, সেই বিষয়েই মামলাকারীদের (Primary TET Scam) তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মামলাকারীদের দাবি, তাদের মধ্যে বহু চাকরিপ্রার্থী যোগ্য থাকা সত্ত্বেও প্রশিক্ষণ না নেওয়া বহু শিক্ষককে চাকরিতে নিয়োগ (Primary Teacher Recruitment) করা হয়েছে।
এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে (West Bengal Board Of Primary Education) আগামী ১৮ই আগস্ট এর মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছেন। আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কিভাবে ৫ হাজার শিক্ষক NCTE র গাইডলাইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ না নিয়েই চাকরি করে যাচ্ছেন?