ব্যাবসা

চাকরির বিকল্প খুঁজছেন, শুরু করুন এই ৫ ব্যবসা। ঘরে বসে আয় করুন মোটা টাকা

সময় যতো এগোচ্ছে ভারতের যুবক-যুবতীরা ততোই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার দিকে আরও বেশি করে ঝুঁকছে। কিন্তু ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে যুবক-যুবতীদের প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে কোন ক্ষেত্রে কম বিনিয়োগে তারা অত্যন্ত সহজে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই প্রশ্নের সদুত্তর না পাওয়ার কারণেই বেশিরভাগ যুবক-যুবতীরা তাদের ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। এমনকী অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবসা সম্পর্কিত সঠিক ধারণা না থাকার কারণে লাভের বদলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয় যুবক-যুবতীদের। আর তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য এমন কতোগুলি ব্যবসা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি, যে ব্যবসাগুলি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলে আপনারা ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

১. খাবারের দোকান:- আপনার বাড়ির কাছে যদি যথেষ্ট লোকসমাগম হয়ে থাকে তবে আপনি নিজের একটি ছোট্ট হোটেল গড়ে তোলার মাধ্যমে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এমনকী আপনার বাড়ির আশেপাশের এলাকাতে যেখানে সর্বাধিক লোকসমাগম হয় সেখানেও আপনার হোটেল গড়ে তুলতে পারেন। গ্রাহকদের স্বল্প দামে ভালো মানের খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসাটিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার হোটেল এবং তার আশেপাশের পরিবেশ যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়। যদিও প্রথম দিকে আপনি একাই এই ব্যবসা সামলাতে পারলেও পরবর্তীতে আপনার ব্যবসা বড় হতে থাকলে আপনার কর্মচারীর প্রয়োজন হবে। এভাবেই আপনি নিজস্ব হোটেলের ব্যবসার মাধ্যমে প্রত্যেকদিন যথেষ্ট টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন।

২. স্টেশনারির ব্যবসা:- ভারতের অর্ধেক জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশই শিশু এবং তরুণ। শিশুরা যেমন ভাবে স্কুলে পাঠরত ঠিক একইভাবে তরুণরাও কলেজে পড়াশোনা করছে, এমনকী তরুণরা কলেজে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির জন্য নানাধরনের প্রফেশনাল কোর্সের অধীনে পড়াশোনা করে থাকেন। আর সবক্ষেত্রেই শিশু থেকে তরুণদের খাতা, পেন, পেনসিল থেকে নানা ধরনের আনুষঙ্গিক জিনিস প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর আপনি নিজের বাড়িতেই এই সমস্ত জিনিসগুলির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এমনকী আপনার এলাকায় যেকোনো স্কুলের আশেপাশে অথবা যেকোন টিউশন সেন্টার কিংবা কোচিং সেন্টারের আশেপাশে যেখানে প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর একত্রে আগমন হয় সেখানে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এমনকী যেসমস্ত বেসরকারি এবং সরকারি স্কুলগুলি নিজেদের স্কুলের মধ্যেই একটি স্টেশনারি স্টোর মেনটেইন করে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে সেই সমস্ত স্টেশনারি সেন্টারেও পেন, পেন্সিল থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সাপ্লাই দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে নিত্য নতুন পেন, খাতা, পেন্সিল, বাচ্চাদের পছন্দ সই পেন্সিল বক্স, ড্রয়িং খাতা ইত্যাদি জিনিসপত্র নিজের কালেকশনে রাখতে হবে। ঠিকঠাকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে আপনি এই ব্যবসা থেকে ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

৩. কাপড়ের ব্যবসা:- সময় যতো এগোচ্ছে মানুষের জামা কাপড়ের চাহিদা ততো বেশি করে বাড়ছে। আর তার ফলেই মিন্ত্রা, ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন-এর মতো অনলাইন শপিং সাইটগুলোর বাড়বাড়ন্তও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবে সকলের হাতে এখন স্মার্টফোন পৌঁছালেও সকলে এই সমস্ত শপিং সাইট থেকে জামা-কাপড় কেনার পদ্ধতি জানেন না। আর তাই এখনও নানা ধরনের শপিংমল থেকে শুরু করে ছোটখাট কাপড়ের দোকানের চাহিদা একই রকম রয়ে গিয়েছে। আপনার বাড়ির আশেপাশে যেখানে প্রচুর মানুষের আগমন হয়ে থাকে এরকম জায়গা বেছে নিয়ে আপনিও নিজের একটি ছোট কাপড়ের দোকান খুলতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ইউনিক কালেকশনের শাড়ি থেকে শুরু করে কুর্তি, জিন্স, টপ প্রভৃতি জামা কাপড় নিজের দোকানে রাখতে হবে। গ্রাহকদের আকর্ষণ করার জন্য এই সমস্ত শাড়ি, কুর্তি, জিন্সগুলিকে সোকেসে সাজিয়ে রাখতে হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে গ্রাহক যাতে কোনোভাবেই আপনার দোকান থেকে ফিরে না যায়। এভাবে আপনি যদি গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে জামা কাপড়ের নিত্যনতুন কালেকশন রাখতে পারেন তবে খুব সহজেই এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি যথেষ্ট টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন।

মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় কল্যাণী এইমস-এ বহু সংখ্যক শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ

৪. হোম বিজনেস:- যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের বাড়ি ঘরের চাহিদাও ক্রমাগত হারে বাড়ছে। আর এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার নতুন ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আপনি যদি বাড়ির ব্যবসা শুরু করতে চান তবে আপনাকে জমি কিনে নিয়ে তাতে বাড়ি কিংবা বহুতল ফ্ল্যাট বানিয়ে সেগুলি বিক্রি করতে হবে। আর বাড়ি বানিয়ে বিক্রি করার পর আপনি যে টাকা বিনিয়োগ করবেন তার প্রায় দ্বিগুণ টাকা উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। একবার এই ব্যবসায় যথেষ্ট নাম অর্জন করতে পারলে আপনি রীতিমতো কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।

৫. লেখা:- আপনি যদি যেকোনো বিষয়কে নিজের লেখনীর মাধ্যমে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য। আপনি আপনার লেখনীর মাধ্যমে যেকোনো সাম্প্রতিক বিষয়কে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে অথবা যেকোনো বিষয়ের উপর গল্প, কবিতা, উপন্যাস লিখে নিজস্ব অনলাইন সাইটে পোস্ট করতে পারেন। আপনার সাইটে যতো বেশি সংখ্যক মানুষ সেই সমস্ত লেখাগুলিকে পড়তে আসবেন ততো বেশি করে কোম্পানিগুলি আপনার ওয়েবসাইটে তাদের বিজ্ঞাপন পোস্ট করতে উদ্যোগী হবে এবং এর মাধ্যমে আপনি যথেষ্ট টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *