ব্যাবসা

মাত্র ১০ হাজার টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা। মাস শেষে হবে ভালো পরিমান লাভ

বহু মানুষই ব্যবসা শুরু করতে চাইলেও সঠিক আইডিয়া এবং ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণার অভাবে তা শুরু করতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রেই যথেষ্ট বিনিয়োগ না থাকার কারণেও যুবক-যুবতীরা তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। আর তাই আজ আমরা এমন একটি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়েছি যাতে নূন্যতম ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই আপনি নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আর ব্যবসা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলেই ব্যবসা থেকে আপনি কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।

মানুষের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমান্বয়ে স্টেশনারির জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়ছে। আর মানুষের এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে পেন, পেন্সিল, কালার পেন্সিল থেকে শুরু করেন শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নানান ধরনের আনুষঙ্গিক জিনিসগুলি বিক্রি করে আপনিও নিজস্ব ব্যবসা শুরু করে ফেলতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি নূন্যতম ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ছোটো করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন আবার চাইলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে যথেষ্ট বড়ো ভাবেও এই ব্যবসাটিকে শুরু করতে পারেন। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম মাথায় রাখতে হবে গ্রাহকের কথা। আর আপনার মূল গ্রাহক হতে চলেছেন স্কুল-কলেজে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই আপনাকে যেকোন স্কুল কিংবা কলেজের কাছে আপনার নিজস্ব দোকান খুলতে হবে। তবে বিভিন্ন টিউশন সেন্টার কিংবা কোচিং সেন্টার, যেসমস্ত জায়গায় প্রচুর পরিমাণে ছাত্রছাত্রীদের আগমন হয়ে থাকে সেখানেও আপনি আপনার দোকান খুলতে পারেন।

সামনেই নতুন বছর। বর্তমানে একদিকে যেমন সমগ্র পশ্চিমবাংলা জুড়ে প্রাথমিক থেকে শুরু করে প্রাক-মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালে শুরু হবে, আর নতুন বছরের সাথেই শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ নতুন করে প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রী সরকারি হোক কিন্তু বেসরকারি যেকোনো ক্ষেত্রের স্কুলে ভর্তি হবে। অন্যদিকে, এই সময়ই বিভিন্ন ধরনের প্রফেশনাল কোর্স থেকে শুরু করে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সেমিস্টারের পরীক্ষা হয়ে থাকে। আর এই সমস্ত ক্ষেত্রের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজন হয়ে থাকে পেন, খাতা, পেন্সিল, ইরেজার শার্পনার থেকে শুরু করে পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রগুলি। আর স্কুল কিংবা কলেজে ছাত্রছাত্রীদের এই সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করে আপনি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।

ডিসেম্বরে এই ৬ প্রকল্পের টাকা পেতে চলেছেন কৃষকরা। দেখে নিন কোন কোন প্রকল্প

এছাড়াও আরও একটি উপায় রয়েছে, বর্তমানে বিভিন্ন স্কুল কিংবা কলেজের তরফে নিজেদের একটি স্টেশনারি স্টোর মেইনটেইন করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজন অনুসারে পেন, পেন্সিল, নোটবুকের মতো জিনিসগুলি তারা স্কুলের স্টেশনারি স্টোর থেকেই কিনে নিতে পারেন। আপনি বিভিন্ন স্কুলের ওই সমস্ত স্টোরে স্টেশনারির পণ্যগুলি পাইকারি দামে সরবরাহ করতে পারেন। এর ফলে একদিকে যেমন আপনার দোকান চলবে, অন্যদিকে তেমন স্কুলের ওই স্টোরগুলিও আপনার ধরাবাঁধা গ্রাহক হয়ে থাকবে। এমনকী ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসা বড়ো হতে শুরু করলে আপনি ওই সমস্ত স্কুলগুলিতে বাচ্চাদের পড়ানোর ক্ষেত্রে যেসমস্ত বই প্রয়োজন হয়ে থাকে সেই সমস্ত বইগুলিও স্কুলের স্টোরগুলিতে সরবরাহ করতে পারেন।

এমনকী নিজের দোকানেও বিভিন্ন স্কুলে যেসমস্ত বইগুলি শিশু, কিশোরদের পড়ানো হয়ে থাকে সেই সকল বইগুলি রাখতে পারেন। এছাড়াও শিশু-কিশোরদের মন জয় করার জন্য আপনাকে নানা ধরনের পেন, পেন্সিল, নোটবুক থেকে শুরু করে কার্টুন স্টিকারের মতো জিনিসপত্র রাখতে হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কখনোই যেন গ্রাহক আপনার দোকান থেকে ফিরে না যায়। এমনকী আপনি আপনার দোকানে কিছু স্ন্যাক্সও রাখতে পারেন। তবে এসমস্ত কিছুর মাঝখানে নিজের ব্যবসার মার্কেটিং করতে ভুললে হবে না, মনে রাখতে হবে আপনি ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হবেন কিনা তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মার্কেটিং-এর ওপর নির্ভর করে থাকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *