স্কলারশিপ

আবেদন করুন রিলায়েন্স স্কলারশিপে এবং প্রতি বছর পান ৫০ হাজার টাকা

ভারতের সবচেয়ে বড়ো নন-প্রফিট অর্গানাইজেশানের মধ্যে একটি হলো রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। ২০১০ সালে রিলায়েন্স ইনডাস্ট্রিসের বর্তমান চেয়ারপার্সন মুকেশ আম্বানি এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামীণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা যাবতীয় উন্নয়নের স্বার্থে। এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে স্টুডেন্টদের জন্যেও রয়েছে বিভিন্ন স্কলারশিপ প্যাকেজ।

এই রিলায়েন্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির ৯০ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে নতুন এক স্কলারশিপ ঘোষণা করলো সংস্থা। দেশের ৫০ হাজার আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট স্টুডেন্টকে আগামী ১০ বছরে এই স্কলারশিপ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছে সংস্থাটি। দেশের যুবসম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য এই স্কলারশিপ চালু করছে বলে জানিয়েছে সংস্থা।

এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য প্রয়োজন কিছু শর্ত পূরণ করা, এমন শর্ত গুলি হলো যথাক্রমে:-
১) স্টুডেন্টকে দেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২) দ্বাদশ শ্রেণীতে নূন্যতম ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩) সময়ের মধ্যে স্নাতক ডিগ্রীতে ভর্তি হতে হবে।
৪) পারিবারিক বার্ষিক আয় ১৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
৫) ভারতের কোনো কলেজেই ভর্তি হতে হবে গ্র্যাজুয়েশন করবার জন্য।
৬) গ্র্যাজুয়েশনের প্রথম বছরেই আবেদন করতে হবে, তারপর আর আবেদন করা যাবে না।
৭) সমস্ত এলিজিবিলিটি ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ হলে স্টুডেন্টের বয়স যতোই হোক যায় আসবে না।
৮) বিদেশে পাশ করেও এদেশের নাগরিক হলেই এবং ভারতের কলেজে গ্র্যাজুয়েশনে ভর্তি হলেই আবেদন করা যাবে।

হাতে মাত্র কয়েক ঘন্টা। আজকের মধ্যে এই কাজ না করলে জরিমানা লাগবে ১০০০০ টাকা।

স্কলারশিপে আবেদন করতে,
প্রথম, যেতে হবে রিলায়েন্স স্কলারশিপের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে।
দ্বিতীয়, নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে করতে হবে রেজিষ্ট্রেশন।
তৃতীয়, এরপর সঠিক স্কলারশিপটি সিলেক্ট করে নিজের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে পূরন করতে হবে ফর্মটি।
চতুর্থ, সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এরপর স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে উল্লেখিত স্থানে।
এরপর সাবমিট করলে অ্যাপ্লিকেশন করা শেষ।

রিলায়েন্সের এই স্কলারশিপে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০২৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত ১১:৫৯ মিনিট। এরপর জমা দেওয়া কোনো আবেদন জমা নেওয়া হবেনা বলেও জানা গিয়েছে। ওয়েবসাইট ক্র‍্যাশিং জাতীয় সমস্যা আটকাতে যত সত্বর আবেদন করুন। ২০২৩ সালের মার্চের শেষ নাগাদ সকল প্রার্থীদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করা হবে।

এই স্কলারশিপে আবেদন করবার জন্য রয়েছে আরেকটি ধাপ, সেটি হলো অ্যাপটিটিউড টেস্ট। এই অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিতে হবে বাড়িতে বসে। টেস্ট দেওয়ার পদ্ধতি হলো:-
১) ফুল স্ক্রিনে প্রশ্নপত্র থাকবে।
২) পুরো সময় ভিডিও ফিডে মুখ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া জারি রাখতে হবে।
৩) ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন সবসময় চালু রাখতে হবে।
৪) পরীক্ষা শুরুর আগে স্ক্রিন ফিড শেয়ার করতে হবে।
৫) ব্রাউজারে অন্য কোনো উইন্ডো বা ট্যাব খোলা যাবে না।
৬) ঘরে অন্য কেউ থাকলেও চলবে না।
৭) শিক্ষার্থীর হয়ে অন্য কেউ পরীক্ষা দিলে সেই আবেদন বাতিল বলে গন্য হবে।
৮) ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনও কথোপকথন বা শব্দ করা যাবেনা।
মোট ৬০ নম্বরের মাল্টিপল চয়েসে প্রশ্ন থাকবে। যার থাকবে তিনটি বিষয়।
নম্বরভার্বাল এবিলিটি:- ২০ নম্বরের।
অ্যানালিটিকাল ও লজিকাল এবিলিটি:- ২০ নম্বরের।
নিউমেরিক্যাল এবিলিটি:- ২০ নম্বরের।
প্রতি প্রশ্নের মান হবে ১ করে।
এই পরীক্ষায় পাশ করলে এরপর মিলবে স্কলারশিপ।

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট – Link

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *