এমনিতেই WBBPE TET 2014 প্যানেলের ৩২০০০ শিক্ষকের চাকরি ঝুলে রয়েছে আদালতে। আর তার মধ্যে ফের শিক্ষক নিয়োগ তথা WBBPE TET 2009 সংক্রান্ত একটি মামলা নিয়ে হাইকোর্টের তরফে একের পর এক নিত্য নতুন নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ১১ বছর শিক্ষকতার চাকরি করার পরে হাইকোর্টের তরফে তাদের হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ২০০৯ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শিক্ষক নিয়োগকে (Teacher Recruitment) কেন্দ্র করে এই মামলা হয়। সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফে বিচারপতিরা নির্দেশ দেন।
WBBPE TET New Update From Court.
সেই সময়ে চাকরি পেয়েছেন যে সমস্ত শিক্ষকরা, তাদের হলফনামা দাখিল করতে হবে। ২০০৯ সালে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ( 2009 WBBPE TET Teachers Recruitment Notification) জারি হয়। ২০১২ সালের (TET Recruitment 2012) শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়। আর 2016 সালে গিয়ে হাইকোর্টে এই শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা (Primary Teachers Court Case) দায়ের হয়ে যায়। এবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছে, সেই সমস্ত শিক্ষকদের হলফনামা দাখিল করতে হবে।
পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় (Primary School) সংসদের অধীনে কর্মরত সেই শিক্ষকদের হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। পাশাপাশি, সেই সময় যারা পূর্ব মেদিনীপুরে চাকরিতে (WBBPE TET) নিয়োগ পেয়েছিলেন পরবর্তীতে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলায় চলে এসেছেন, তাদের উত্তর ২৪ পরগনা এসআই অফিসে (SI Office) গিয়ে হলফনামা দিতে হবে, কি লেখা থাকবে হলফনামায় (Affidavit)?
WBBPE TET Recruitment মামলায় নয়া মোড় আসতে চলেছে?
চাকরিরত শিক্ষককে (Working Primary Teacher) ঘোষণা করতে হবে, তিনি ২০০৯ সালে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন। শিক্ষক নিয়োগের WBBPE TET ইন্টারভিউ বোর্ডে তার কোনো আত্মীয় যুক্ত ছিলেন না। তার এই ঘোষণাপত্র যদি মিথ্যা হয়ে থাকে তাহলে তিনি শাস্তি নিতেও রাজি আছেন। এই বিষয়টি ঘোষণা করতে হবে ওই শিক্ষকদের।
এই নির্দেশগুলি গাইঘাটা, রাজারহাট, সন্দেশখালি, মধ্যমগ্রাম, মধ্যমগ্রাম পূর্ব, বেড়াচাঁপা, বারাসাত, দেগঙ্গা সহ উত্তর 24 পরগনা জেলার এসআই অফিসে গিয়ে সেই সমস্ত শিক্ষকরা যেখানে পোস্টিং রয়েছেন তাদের জমা দিতে হবে। কিন্তু চাকরি করার ১১ বছর পরে এই ধরণের কাজ কেন করতে হবে এই নিয়ে সংশয় অনেকের মনে। তবেকি ২০১৭ সালের যোগদান করা শিক্ষকদের মতো এই প্যানেল নিয়েও বড়সড় দুর্নীতির প্রমান মিলেছে? প্রশ্ন উঠছে।
যদিও বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে। তাদের কথায়, শিক্ষক নিয়োগের (WBBPE TET Recruitment) ক্ষেত্রে শিক্ষকদের কি ভূমিকা রয়েছে তা বোঝা গেল না!!! কি জন্য হলফনামা দিতে হবে সেটাও বোঝা গেল না? এই ১১ বছর পরে ফের হলফনামা দেওয়ার যে নির্দেশ আদালতের তরফে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।
WBBPE TET – 32 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি থাকবে নাকি থাকবে না? সুপ্রিমকোর্টের বড় নির্দেশ।
এই বিষয়ে আবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় সংসদের তরফে বলা হয়েছে, বিষয়টি জানা নেই। কমিশনারের তরফে নির্দেশিকা এসে থাকতে পারে। হলফনামা কারা দেবেন, কারা দেবেন না সেটা তাদের বিষয় হলফনামা না দিলে কি পদক্ষেপ হবে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এবারে আমাদের সকলকে WBBPE TET নিয়ে আগে কি হতে চলেছে সেই সম্পর্কে জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে।
Government Holidays – রাজ্যবাসীর জন্য বড় উপহার মুখ্যমন্ত্রীর, কি ঘোষণা করলেন, জেনে নিন।