ট্রেন্ডিং

Citizenship Amendment Act – দেশজুড়ে শুরু হলো CAA বিল। এক সপ্তাহের মধ্যে অনলাইনে আবেদন। কিভাবে নাগরিকত্ব পাবেন?

CAA বা Citizenship Amendment Act নিয়ে দেশ ও রাজ্যের রাজনীতি তোলপাড় হয়ে আসছে। যবে থেকে কেন্দ্র সরকার CAA আনার কথা বলেছেন তবে থেকে বিরোধীরা এই আইন এর বিরোধিতা করছে। আর ভোট এলেই বিজেপি সরকার (BJP Government) CAA বা সংশোধীত নাগরিকত্ব আইন এর প্রসঙ্গ তোলেন। এই বছর আর কয়েক মাস পর ভোট আর এই ভোটের আগেই আবার CAA প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুর।

Citizenship Amendment Act Implementation Across The Country.

রবিবার দক্ষিন 24 পরগনা (South 24 Parganas) জেলার কুলপির নিশ্চিন্তপুরে সভায় গিয়ে তিনি CAA বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে কথা তোলেন। সেখানেই তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) কার্যকর হবে বলে দিয়েছেন। এই বক্তব্যের পরই সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা মুখ খোলেন।

রবিবার এই সভায় গিয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “যারা 1971 সালের পরে এসেছেন এদেশে তাদের নাগরিকত্ব দরকার। কারণ ভবিষৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে হবে। বিজেপি সরকার Citizenship Amendment Act চালু করলে আর কোনো সরকারের ক্ষমতা নেই আমাদের যখন খুশি দেশ থেকে ঘর ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দেয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র সরকার CAA চালু করবে।

এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “নির্বাচন এলেই বিজেপি নেতারা Citizenship Amendment Act নিয়ে ধুয়ো তোলেন, তা অর চলবে না। যাদের নাগরিকত্ব দেবার কথা বলা হচ্ছে তারা ইতিমধ্যেই দেশের নাগরিক। তৃণমূল নেতৃত্ব বরাবরই CAA প্রসঙ্গে দাবী করে আসছেন যে নাগরিকরা ভোট দেন, যাদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) আছে, ভোটার কার্ড (Voter Card) আছে তারাই দেশের নাগরিক (Indian Citizen).

শান্তনুর প্রশ্ন, যারাই এদেশে এসেছেন, ভোট দেন, আধার কার্ড আছে তারাই যদি দেশের নাগরিক হন তাহলে পাসপোর্টের (Passport) তদন্তের জন্য DIB কেন 1971 সালের আগের দলিল চাইছে? শান্তনুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শশী পাঁজা বলেন, আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলছেন Citizenship Amendment Act অবশ্যই হবে। তাদের নাকি আত্মবিশ্বাস আছে, আসলে তাদেরই আত্মবিশ্বাস নেই।

Electricity Bill (পশ্চিমবঙ্গে ইলেকট্রিক বিল)

মন্ত্রীর সংযোজন, মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে Citizenship Amendment Act এর প্রয়োজন নেই। CAA বাংলায় হবে না। যাদের ওরা নাগরিকত্ব দেবার কথা বলছেন, তারা ইতিমধ্যেই দেশের নাগরিক। তারা রেশন পাচ্ছেন, ভোট দিচ্ছেন, আধার কার্ড আছে, সরকারি প্রকল্পের সাথে যুক্ত আছেন। সুখে আছেন, শান্তিতে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের আশ্বাস করেছেন।

3000 টাকা পাবেন প্রতিমাসে। মোদী সরকারের বড় সিদ্ধান্ত বাজেটের আগেই।

প্রতিবার নির্বাচন (Election) এলেই যদি আপনি মনে করেন, Citizenship Amendment Act তুলে আলোড়ন তৈরি করবেন, অরাজকতা তৈরি করবেন।সেটা আর হবে না। বাংলার মানুষ এই সবে আর বিশ্বাস করবেন না। এছাড়াও এই CAA নিয়ে এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফে কোন সরকারি ঘোষণা করা হয়নি। এবারে দেখার অপেক্ষা যে আগামীদিনে ভোটের আগে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে।
Written by Ananya Chakraborty.

আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গের সরকারী সাহায্য পোষিত ও নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে ছুটি ঘোষণা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *