আবেদন করুন ফিলিপস স্কলারশিপে এবং প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা পেয়ে যান।
পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করার জন্য ফিলিপস-এর তরফে এক বিশেষ স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে। এই স্কলারশিপটি সমগ্র ভারতে ফিলিপস স্কলারশিপ (Phillips Scholarship) নামে পরিচিত। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি হলো এই স্কলারশিপের আওতায় ছাত্র-ছাত্রীরা ৫০,০০০ টাকা করে পেয়ে যাবেন। আর তাই আজ আমরা এই স্কলারশিপ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।
চলুন তবে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কারা এই স্কলারশিপের অধীনে আবেদন জানাতে পারবেন:-
১. যেসকল ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে MBBS, BDS, Nursing, B.Pharm, BAMS, BHMS সহ যেকোনো স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোর্সে পড়াশোনা করছেন তারাই কেবলমাত্র এই স্কলারশিপের অধীনে আবেদন জানাতে পারবেন।
২. এর পাশাপাশি যেসকল শিক্ষার্থীদের পরিবারের বার্ষিক আয় ৬,০০,০০০ টাকার বেশি নয়, তারাই কেবলমাত্র এই স্কলারশিপের অধীনে অনুদানের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
৩. সমগ্র ভারতের ছাত্র-ছাত্রীরাই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
৪. ফিলিপস এবং buddy4study -এর আওতায় কর্মরত কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন না।
অনুদানের পরিমাণ:- ফিলিপস স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় ছাত্র-ছাত্রীরা ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান পেয়ে থাকেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া:- ফিলিপস স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অধীনে আবেদনের ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের প্রথমেই buddy4study -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.buddy4study.com/page/philips-scholarship-program -এ যেতে হবে। এরপর আপনার সামনে যে পেজটি আসবে তাতে আপনি স্কলারশিপ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দেখতে পারবেন। তারপর ওই পেজটির একেবারে শেষের দিকে থাকা Apply Now অপশনে ক্লিক করতে হবে।
উপরোক্ত অপশনে ক্লিক করার পর আপনাকে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট অথবা ইমেইল অ্যাড্রেস কিংবা ফোন নম্বরের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলেই আপনার সামনে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফর্মটি চলে আসবে। এই ফর্মে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং আবশ্যক নথিগুলি আপলোড করতে হবে। সবশেষে Submit অপশনে ক্লিক করলেই আবেদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি:-
১. ভারত সরকারের তরফে ইস্যু করা আইডেন্টিটি প্রুফ (আধার কার্ড/ ভোটার কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ PAN কার্ড)।
২. আবেদনকারী বর্তমানে যে কোর্সে পাঠরত তাতে ভর্তির রশিদ।
৩. উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট।
৪. পরিবারের বার্ষিক আয়ের সার্টিফিকেট।
৫. আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ফটোগ্রাফ।
৬. ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত ডিটেইলস।