Bangla Shasya Bima: বাংলা শস্য বীমা টাকা কবে দেবে? বাংলা শস্য বীমা লিস্ট স্ট্যাটাস চেক
পশ্চিমবঙ্গের কৃষকবন্ধুদের সুবিধার জন্য বাংলা শস্য বীমা (Bangla Shasya Bima) নামক সরকারি প্রকল্প (Government Scheme) নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal). আর এই প্রকল্প ছাড়াও কৃষকদের (Farmers) জন্য কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu) ও পিএম কিষান যোজনা (PM Kisan Yojana 2024) নিয়ে আসা হয়েছে সরকারের তরফে।
Bangla Shasya Bima Government Scheme
আর এই সকল প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা আর্থিক সুরক্ষা পেয়ে থাকেন। খারিফ শস্য এবং রবি শস্যের জন্য যে সকল সার, কীটনাশক কিনতে খরচ হয়, সেই খরচ বাবদ বাংলা শস্য বীমা যোজনা (Bangla Shasya Bima) প্রকল্পের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন রাজ্যের কৃষকরা। এই বছর নিম্নচাপ জনিত বৃষ্টি, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কৃষকদের চাষযোগ্য জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
বাংলা শস্য বীমা যোজনা পেমেন্ট
এর জন্য রাজ্যের কৃষকদের অনেক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এর ফলে রাজ্য সরকারের বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের (Bangla Shasya Bima) আওতায় খারিফ সিজনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত কৃষকদের চাষযোগ্য জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে আবেদন জানালে রাজ্য সরকার আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।
বাংলা শস্য বীমা ফরম ফিলাপ 2024
ইতিমধ্যে রাজ্যের অনেক কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের (Bangla Shasya Bima) টাকা ঢুকে গিয়েছে, তবে এখনো বেশিরভাগ কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি এমনটাই জানা যাচ্ছে। এছাড়া এমন অনেক রাজ্যের কৃষক রয়েছেন, যাঁরা এখনো পর্যন্ত আবেদন করেননি, সেই সমস্ত কৃষক কিভাবে বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে আবেদন জানাবেন সেই সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হবে এই প্রতিবেদনে।
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের (Bangla Shasya Bima) আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে। এই প্রকল্পে আবেদন জমা করতে পারবেন ৩০ শে নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত। নভেম্বর পড়তেই রাজ্যের কিছু কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। যে সমস্ত কৃষকরা সেপ্টেম্বর মাসে আবেদন করেছিলেন এবং যাদের আবেদন গণ্য করা হয়েছে তাঁরা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে টাকা পেয়ে গিয়েছেন, তবে এমন অনেক কৃষক রয়েছেন, যাঁরা আবেদন জানিয়েছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত টাকা ঢোকেনি।
যে সমস্ত কৃষকরা সেপ্টেম্বরের শুরুতেই আবেদন ফর্ম জমা করেছিলেন, তাদের ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ পর্যালোচনা করে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হয়েছে, কিন্তু যে সমস্ত কৃষকরা একটু দেরিতে আবেদন ফর্ম জমা করেছিলেন, তাদের কত পরিমাণ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে সে গুলো নির্ণয় করা কাজ এখনো চলছে তাই তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা ঢোকেনি (Bangla Shasya Bima). নির্ণয় করার কাজ পর্যালোচনা হয়ে যাওয়ার পরে টাকা ঢুকে যাবে।
১২ ই নভেম্বর থেকে বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের (Bangla Shasya Bima) টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে সমস্ত কৃষকদের বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে, তাদের টাকা নভেম্বরের ১২ তারিখ থেকে দেওয়া শুরু হয়েছে এবং যে সমস্ত কৃষকদের ‘ডানা’ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সমস্ত কৃষকদের টাকা ডিসেম্বরে শেষের দিকে দেওয়া হবে।
বাংলা শস্য বীমা আবেদনের নথিপত্র
১) পরিচয় প্রমাণের জন্য ভোটার কার্ড।
২) ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা, তা বোঝানোর জন্য আধার কার্ড।
৩) ব্যাঙ্কের পাস বুক।
৪) আপনার নিজস্ব জমির দলিল বা নিজের নামে জমি না থাকলে যে জমিতে চাষ করছেন, সেই জমির পরিমাপ সহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে পাওয়া শংসা পত্র।
৬) ফসল রোপণ যে করেন তার সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেটটি সংশ্লিষ্ট ব্লকের কৃষি আধিকারিক দ্বারা অনুমোদিত রেভিনিউ অফিসার বা রেভিনিউ ইন্সপেক্টরের থেকে নিতে হবে।
আপনি যে গ্রাম পঞ্চায়েতে থাকেন সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে গিয়ে বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের (Bangla Shasya Bima) জন্য আবেদন জানাতে পারেন। স্থানীয় এলাকার নিকটবর্তী কৃষি অফিসে গিয়েও আবেদন জানাতে পারেন। আবেদন জানানোর জন্য একটি ফর্ম দেবে তাঁরা, এই ফর্মটি সম্পূর্ণ নিখুঁতভাবে ফিলাপ করে পঞ্চায়েত অফিস বা কৃষি অফিসে জমা করলে আবেদন সম্পন্ন হবে।
পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম। পোস্ট অফিস সেভিংস স্কিমে সুদের হার কত?
যে সমস্ত কৃষকদের এখনো পর্যন্ত বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে আবেদন জানানো (Bangla Shasya Bima Online Apply) হয়নি, তাঁরা অতি দ্রুত নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে আবেদন জানিয়ে ফেলুন। যে সব কৃষকদের এখনো পর্যন্ত টাকা ঢোকেনি তাদেরও আস্তে আস্তে ধাপে ধাপে ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে সকলের তরফে।
Written by Shampa debnath