ট্রেন্ডিং

Gold – সোনার গহনা কিনবেন? সোনার গুণমান পরীক্ষা করতে এই 7 টি পদ্ধতি দেখে নিন।

কেবলমাত্র বিয়ের সময় নয়, Gold Jewellery বা সোনার অলংকার যে কোনো অনুষ্ঠানে বা কোনো অনুষ্ঠান ছাড়াও পরা যায়। এই জন্য আলাদা আলাদা সেকশন রাখা হয় (ভারী গহনা, হালকা গহনা)। কিন্তু গহনা কিনতে গিয়ে যে সমস্যায় বেশিরভাগ গ্রাহকেরা পড়ে থাকেন, তা হল প্রতারণার কবলে। নির্দিষ্ট দিনে সোনার ক্যারেট এবং ওজন অনুসারে দাম দিয়ে থাকেন গ্রাহকেরা। তার বদলে যদি নকল গহনা বা বেশি খাদ যুক্ত গহনা কিনতে হয়, তাহলে পরিশ্রমের সব টাকাই জলে যায়।

Gold Jewellery বা সোনার গহনা কিনতে গেলে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতেই হবে?

এমন অনেকেই আছেন Gold jewellery কেনার সময় সোনার গহনা আসল না নকল তা পরখ করে নেন না। কিংবা কিভাবে করা যাবে তা জানেন না। আজকে এই প্রতিবেদনে কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হবে, যাতে করে আসল বা নকল সোনার গহনা বিচার করতে পারবেন গ্রাহকেরাই। প্রসঙ্গত, গহনায় হলমার্ক চিহ্ন আছে কিনা তা দেখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, হলমার্ক চিহ্ন না থাকায় গহনা বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়।

এইমাসে সোনা কেনার শেষ সুযোগ, হটাত করে দাম কমলো সোনা রূপার, এই সুযোগে কিনে নিন।

২০২১ সাল থেকে Gold Jewellery বিক্রির সময় হলমার্কিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তাছাড়া আগামী ১ এপ্রিল, ২০২৩ থেকে দেশে Gold Jewellery বিক্রির নিয়মে বদল আসতে চলেছে৷ এ বিষয়ে কেন্দ্ৰীয় উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (HUID) না থাকলে Gold Jewellery বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে না। বিশেষত, গ্রাহকের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই বর্তমানে এই নম্বর আছে কিনা তা দেখে গহনা কিনতে হবে।

এছাড়া আরো কয়েকটি পদ্ধতি হল-
ভিনেগার পরীক্ষা-
রান্নার জন্য প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ভিনেগার কিনে রাখা হয়। তাই সোনার গহনা আসল না নকল তা পরীক্ষা করার একটি সহজ পদ্ধতি হল এটি। সোনার গয়নায় কয়েক ফোঁটা ভিনেগার দিলেই বোঝা যাবে। গয়নার উপর পড়া মাত্র যদি রঙ বদলে যায়, বুঝতে হবে নকল। আর যদি আসল গহনা হয়, তাহলে রঙের কোনো পরিবর্তন হবে না।

Gold Jewellery কেনার সময় বিআইএস-
এর ত্রিভুজাকার চিহ্ন রয়েছে কিনা, তা খুঁজে দেখতে হবে৷ হলমার্কিং এর মান পরীক্ষা করতে ব্রেকআপে গয়নার রসিদ নিতে হবে। বুঝবেন কিভাবে? হলমার্ক যদি ৩৭৫ হয়, তবে এটি প্রায় ৩৭.৫% খাঁটি সোনা থাকবে। সোনার হলমার্ক ৫৮৫ হয়, তখন এট ৫৮.৫% খাঁটি সোনা থাকবে। হলমার্ক ৯৯০ হলে, ৯৯.০% খাঁটি সোনা থাকবে। আর যদি সোনার হলমার্ক ৯৯৯ হয়, তাহলে বুঝতে হবে ৯৯.৯% খাঁটি সোনা থাকবে।

ভাসছে কিনা চেক করুন-
Gold বা সোনা একটি শক্ত ধাতু। তাই এটি ভাসছে কিনা চেক করতে হবে। যদি পরীক্ষা করে দেখা যায় গহনা জলে ডুবে গেছে, তাহলে বুঝবেন আসল। আর যদি ভাসমান অবস্থায় তখন বুঝবেন গহনা নকল৷
নাইট্রিক অ্যাসিড ব্যবহার-
গহনার উপর একটু দাগ তৈরি করে তাতে নাইট্রিক অ্যাসিড ঢেলে দিতে হবে। যদি সোনার রঙে কোনো পরিবর্তন হয়, তাহলে বুঝবেন সোনা নকল৷ এখন সবার বাড়িতে তো এটি থাকে না, তাই পরীক্ষা করতে সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করাই শ্রেয়।

চৌম্বক পরীক্ষা-
সোনার চৌম্বক বৈশিষ্ট্য নেই। তাই পরীক্ষার জন্য এটি একটি সহজ পদ্ধতি। যদি এটি চুম্বকের দিকে আকৃষ্ট হয় না৷ বুঝবেন গহনা আসল। আর উল্টোটা হলে সোনাটা নকল৷ এছাড়া সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার জন্য সরকারী অ্যাপও ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপের নাম ‘বিআইএস কেয়ার অ্যাপ’।

গাড়িতে পেট্রোল ডিজেল ফুল ট্যাংক ভরলে বড় বিপদ, কেন্দ্রের কড়া নির্দেশ।

প্রয়োজনে এই অ্যাপই জানাবে সোনা নকল কিনা। আরো একটি সুবিধা হল এই অ্যাপের মাধ্যমে নকল সোনার প্রেক্ষিতে অভিযোগও করা যাবে। তাই সোনা কিনতে গেলে হাতে সময় নিয়ে দেখেই কেনা ভালো।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *