ট্রেন্ডিং

ভোটার সংক্রান্ত নয়া নিয়ম প্রকাশ করলো ইলেকশন কমিশন, বাড়তি সুবিধা পেতে চলেছেন সমস্ত নাগরিকরা।

ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যবহৃত অন্যতম নথিটি হলো ভোটার কার্ড। তবে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় নাগরিকদের ভুলে কিংবা অন্য যেকোনো সমস্যার কারণে ভারতীয় জনসাধারণের ভোটার কার্ডে নানারকমের ভুল থেকে যায়। আর তাতেই সমস্যা। তবে সমস্যার সমাধানও রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে কার্যকরী অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসারে ভারতীয় নাগরিকরা চাইলেই তাদের ভোটার কার্ডের ভুল সংশোধন করতে পারেন, তবে ভুল সংশোধন করার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। ওই সময়ের বাইরে অন্য সময় কোনোভাবেই ভুল সংশোধন করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে, একইভাবে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম রয়েছে। বছরের অন্য সময়ে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করা গেলেও নাগরিকরা কোনোভাবেই হাতে ভোটার কার্ড পান না।

আর তাতেই নানাভাবে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন ভারতের জনসাধারণ। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে যাদের বয়স ১৮ বছর কিংবা তার বেশি তারাই কেবলমাত্র ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন জানাতে পারতেন। আর জনসাধারণের এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এবারে নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটার তালিকা প্রকাশ সংক্রান্ত এক নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যার ফলে লাভবান হতে চলেছেন সমগ্র ভারতের সাধারণ জনগণ। ইতিপূর্বে বারংবার ইলেকশন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিলো যে, বছরের শুরুতেই শুধুমাত্র একবারের জন্য ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হলে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সমস্ত নাগরিকদের। যেহেতু কমিশনের তরফে প্রকাশিত ভোটার তালিকা মেনেই সমস্ত রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন কার্যকরী করা হয়ে থাকে এবং লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই একই ভোটার তালিকা অনুসারে কাজ করা হয়, তাই ভোটার তালিকায় সমস্ত নাগরিকদের নাম থাকা আবশ্যক। যার কারণে বছরে একবার ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হলে নাগরিকদের বারংবার ভোগান্তি পোহাতে হয়।

আর তাই ভারতীয় জনসাধারণের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ইলেকশন কমিশনের তরফে এক নতুন নিয়ম কার্যকরী করা হলো। যে নিয়মের মারফত, নাগরিকরা বছরে ৪ বার নতুন ভোটার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের সমস্ত ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সুতরাং, এই নিয়ম অনুসারে বছরে ৪ বার ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ইলেকশন কমিশনের তরফে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের শুরু থেকেই এই নতুন নিয়ম কার্যকরী করতে চলেছে ইলেকশন কমিশন। ইলেকশন কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, আগামী বছর থেকে তিন মাস অন্তর অন্তর বছরের চারবার ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারি, ১ লা এপ্রিল, ১লা জুলাই, ১লা অক্টোবর তারিখে দেশের নাগরিকদের জন্য ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

একটি অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হলো রাজ্য সরকারের তরফ থেকে, বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ অফিস আদালত

এই সময়ে ভোটার কার্ডের বিভিন্ন তথ্য ভুল থাকলে সেগুলিও সংশোধন করা যাবে। এমনকী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন-এর মাধ্যমেও ভোটার কার্ডের ভুলগুলি সংশোধন করা যেতে পারে। তবে শুধু অ্যাপের মাধ্যমে নয় ইলেকশন কমিশনের অফিসের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নাগরিকরা ভোটার কার্ডে বিভিন্ন তথ্যগুলি সংশোধন করতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *