ব্যাবসা

ব্যবসা করার নতুন আইডিয়া মাত্র 1 বছরেই লাখ লাখ টাকা আয় হবে।

কিভাবে করতে হবে এই ব্যবসা? জেনে নিন।

শুধুমাত্র ব্যবসা করার ইচ্ছে থাকলেই হল না। তার জন্য জানতে হবে কোন ব্যবসা বেশি লাভদায়ক। কত টাকা পুঁজির দরকার? আর সবথেকে বড় বিষয়টি হল জানতে হবে কোন পরিকল্পনার সাথে বানিজ্য করলে দ্রুত সফল হওয়া যাবে। আজকে এই প্রতিবেদনে এমন একটি ব্যবসার সম্পর্কে আইডিয়া দেওয়া হবে, যা মেনে ব্যবসা শুরু করলে কম খরচেই ১ বছরের মধ্যে ভালো দারুন মুনাফা হবে।
বিশেষত অনেকেই অতিমারীর আবহে ব্যবসায় লাভের মুখ দেখতে পাননি। আবার অনেকে চেয়েছেন পেশা বদল করতে। তারা এই ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করতে পারবেন।

বিনা ইনভেস্টে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা করে সম্মান ও লাখ লাখ টাকা রোজগার করুন।

ব্যবসার নাম- আপেল কুল চাষ।
কি এই আপেল কুল?
এটি কুল ফল। তবে সাধারণ কুলের চাইতে এই আপেল কুল আকারে বেশ অনেকটাই বড়ো। এই ফল চাষ করেই লাখ টাকা রোজগার করা সম্ভব। সম্প্রতি কেবলমাত্র এই কুল চাষ করেই মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার শ্রীপুর গ্রামে এক চাষী মুনাফা অর্জনের পথ দেখাচ্ছেন। আর এই ক্ষেত্রে লাগবে না বেশি পুঁজিও।

এই চাষের জন্য উপযুক্ত পুঁজি কত?
আপেল কুল চাষ প্রসঙ্গে কৃষিবিদরা জানিয়েছেন, উর্বর বা অনুর্বর দুই প্রকার জমিতেই অনেক কম খরচে চাষ করা সম্ভব। যদিও চাষ শুরু করার আগে ভালো জাতের চারা নির্বাচন করতে হবে। তাহলে পরিশ্রমও কম হবে। আর ফলনও ভালো হবে।

কোন সময়ে চাষ করা প্রয়োজন?
বিশেষত, বর্ষার ঠিক পরে পরেই, মাসের হিসেবে বলতে হলে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আপেল কুলের চারা লাগাতে হবে। এছাড়া গাছ থেকে গাছ ও সারি থেকে সারির মধ্যে দূরত্ব প্রায় 10 ফুট বাই 10 ফুট রাখতে হবে। এইভাবে বিঘাপ্রতি 200 টির বেশি গাছ লাগানো সম্ভব।

আপেল কুল চাষের সুবিধা?
আকারে ছোট হওয়ায় এই গাছগুলি পরিচর্যা করতে বেশি কষ্ট হয় না। তাছাড়া ঘন ঘন সেচ প্রদানের দরকারও হয় না। মাটিতে পর্যাপ্ত জল থাকলেই ফলন হয়। চারা রোপণের ১০ মাসের মধ্যে চারাগুলো পরিপক্ব হয়ে যায়। আর ১ বছরের মধ্যে গাছে ফুল আসে। বছরের শুরুতেই গাছ থেকে বিঘাপ্রতি কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ কেজি ফল উৎপাদন হতে পারে। এই গাছগুলি ভালো পরিচর্যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া সম্ভব।

 বাড়িতে বিনামূল্যে পোস্ট অফিস ও আধার সেবা কেন্দ্র খুলে সম্মান জনক রোজগার করুন।

কত টাকা মুনাফা হবে?
আপেল কুল কেজি প্রতি ৭০ টাকা করে পাইকারি বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে। আর কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ কেজি ফল উৎপাদন হলে, তা বিক্রির মাধ্যমে বেশ ভালোরকম আয় করা যাবে। তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই সংক্রান্ত নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *