ব্যাবসা

বাড়িতে নার্সারির ব্যবসা করে মাসে ইনকাম করুন ভালো পরিমাণ টাকা

বর্তমানে সমগ্র ভারতের জনগণ যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন তাতে দেশের যুবসমাজ রীতিমতো ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছে। অন্যদিকে বিগত বছরগুলিতে করোনার কারণে মানুষের বাড়িতে বসে কাজ করার প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে। আর এখন আপনিও চাইলেই বাড়িতে বসেই বিভিন্ন প্রকার ব্যবসার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বাড়িতেই নিজস্ব নার্সারি গড়ে তোলা অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আজ এই পোস্টে আপনারা কিভাবে বাড়িতে নিজস্ব নার্সারি গড়ে তুলে তা থেকে আয় করতে পারবেন তার সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আলোচনা করতে চলেছি।

নার্সারির ক্ষেত্রে কিরকম জমি প্রয়োজন হবে?
নার্সারি করার ক্ষেত্রে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, যে জমি আপনি নির্বাচন করবেন সেটি যেনো উঁচু হয় যাতে কোনোভাবেই বৃষ্টির জল জমতে না পারে। এর পাশাপাশি নির্বাচিত স্থানে যেন প্রচুর পরিমাণে আলো, বাতাস থাকে তাও খেয়াল রাখতে হবে। আপনার বাড়িতে যদি এইরকম জমি থেকে থাকে তবে আপনি বাড়িতে বসেই নার্সারি শুরু করতে পারবেন অথবা আপনি বাড়ির কাছেই এরকম সুবিধা-যুক্ত জমি বেছে নিয়ে নার্সারির ব্যবসা শুরু করতে পারেন, যাতে আপনি সবসময় গাছপালার পরিচর্যা করতে পারেন এবং ব্যবসার সমস্ত কিছু নিজে হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে কেবলমাত্র জমিতে যে নার্সারি করতে হবে তেমনটা নয় আপনি চাইলে বাড়ির ছাদেও নার্সারি গড়ে তুলতে পারবেন।

নার্সারি তৈরির ক্ষেত্রে কি কি উপকরণ প্রয়োজন?
নার্সারি তৈরির ক্ষেত্রে উপযুক্ত জমির পাশাপাশি বীজ, চারাগাছ, সার, কীটনাশক, ছোট-বড়ো নানান মাপের টব, উপযুক্ত সেচ ব্যবস্থা, ছুরি, কাঁচি, স্প্রেয়ার্স প্রভৃতি প্রয়োজন হবে। এছাড়াও নার্সারি শেড, নেট হাউস, মিস্ট হাউস ও প্রপাগেশন হাউসের প্রয়োজন হবে। এর পাশাপাশি নার্সারির বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে বিদ্যুতের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

এখন থেকে বাড়িতে বসেই হাতে পেয়ে যাবেন কাস্ট সার্টিফিকেট, কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন

মূলধন:-
যদি আপনার নিজস্ব জমি থাকে অথবা আপনি ছাদের ওপর নার্সারি তৈরি করতে চান তবে আপনাকে নার্সারি তৈরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তবে বড়ো করে আপনি যদি নার্সারি তৈরি করতে চান তবে সেক্ষেত্রে আপনার ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

কোন ধরনের উদ্ভিদ চাষ করলে অধিক লাভ পাওয়া যাবে?
বর্তমানে মানুষ তাদের বাড়ি সাজিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন প্রকারের ফুল গাছ এবং শৌখিন ফলের গাছ নিজের সংগ্রহে রাখেন। সুতরাং আপনিও বিভিন্ন মৌসুমী ফুল, ফল সহ নানাপ্রকার দুর্লভ ফুল, ফলের গাছ নিজের সংগ্রহে রাখতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার ভেষজ উদ্ভিদও আপনার নার্সারিতে রাখতে পারেন। এমনকী নানান ধরনের মৌসুমী শাকসবজিও রাখা যেতে পারে। এর পাশাপাশি আপনি কোন অঞ্চলে বসবাস করছেন তার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের গাছ নির্বাচন করে তা নিজের নার্সারিতে রাখতে পারেন।

বাজারজাতকরণ:-
যেকোনো ব্যবসাতেই নামকরণ একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হয়ে থাকে। আপনিও আপনার নার্সারির একটি আকর্ষণীয়র নাম রাখতে পারেন, যেটি মানুষ সহজেই মনে রাখতে পারবে। এর পাশাপাশি এমন জায়গায় নার্সারি করুন যেখানে মানুষ সহজেই রাস্তা চিনে পৌঁছাতে পারে। এসবের পাশাপাশি আপনাকে সমস্ত রকমের ফুল এবং ফলের গাছ রাখতে হবে, যাতে আপনি গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও আপনার ব্যবসা বাড়াতে পারেন। এমনকী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ডেকোরেশনে প্রয়োজন মতো গাছ সরবরাহ করেও আপনি যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে এখানেই শেষ নয়, আপনি বিভিন্ন গাছের বীজ বিক্রি করেও যথেষ্ট টাকা আয় করতে পারবেন।

লাভ:-
আপনি যদি সঠিকভাবে একটি নার্সারি তৈরি করে পরিচালনা করতে পারেন তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার নার্সারি পরিচিতি পাবে এবং আপনার ব্যবসা বাড়তে শুরু করলেই আপনি মাসে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *