চাকরি

Dearness Allowance – পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া DA নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা। গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত পাওয়া গেল।

রাজ্যে ঠান্ডা পরেছে কিন্তু রাজ্য রাজনীতি গরম হয়ে আছে মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে। মহার্ঘ ভাতা প্রসঙ্গে বারবার সুর চড়িয়েছে DA আন্দোলনকারী থেকে শুরু করে কেন্দ্র, রাজ্য এবং বিরোধী দল গুলো। এর আগে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্দোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল এর সভা ছিল সেখানে DA প্রসঙ্গে কোনো কথা তিনি বলেননি। কিন্তু এবার তিনি এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। সোমবার বিধানসভা ভবনে মুখ খুললেন তিনি।

West Bengal Dearness Allowance News.

বুধবার একদিকে ধর্মতলায় অমিত শাহ (Amit Shah) সভা করছিলেন অপরদিকে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee). কলকাতার দুই দিকে দুই যুযুধান পক্ষ। দুই দলই একে অপরের বঞ্চনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল। তিনি ঐদিন বিরোধী দল বেশি করে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চরিয়ে বলেছেন যে, কারও যদি কোনও আপত্তি থাকে সে ক্ষেত্রে গিয়ে কেন্দ্র সরকারি চাকরিতে (Dearness Allowance) যোগদান করুক।

কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। আমরা কাউকে আটকায়নি। তিনি আর বলেছেন, মনে রাখুন কেন্দ্র 3 থেকে 4 দিন ছুটি দেয়। আমরা সেখানে ৪০ থেকে ৪৫ দিন ছুটি দিয়ে থাকি। মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) এই বিষয় গুলো মাথায় রাখবেন। আমরা দশ বছরে একবার বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আর 5 বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঐদিন মমতা ব্যানার্জি সরকারি কর্মীদের (Government Employees) পেনশন প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যে সরকারি কর্মীদের পেনশন দেয়। অনেকে বলছে পেনশন বন্ধ করে দাও তাহলে সুদের টাকার পরিমাণ কমে যাবে। কিন্তু আমরা পেনশন (Pension) বন্ধ করবো না। তিনি ঐদিন সরকারি কর্মীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বলেন, সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে অনশন, আন্দোলন, মিছিল সব করছে, রাজ্য সব দেখছে।

তিনি আর বলেন, ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক বিষয়। এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে কিঙ্কর অধিকারী বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও নেই, তাহলে তারা সরকারি কর্মীদের Dearness Allowance দিচ্ছে কি করে। AICPI (All India Consumer Price Index) অনুযায়ি কেন্দ্রীয় সরকার বছরে মহার্ঘ ভাতা দেয়। সরকারি কর্মীদের প্রতি সরকারের কোনো দায়বন্ধতা নেই।

PNB (পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক)

মুখ্যমন্ত্রী যে অজুহাত তুলে ধরেছেন তাতে কোনো যুক্তি নেই। আসলে সরকারি কর্মীদের প্রতি সরকারে আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। এই যুক্তি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। উল্লেখ্য, AICPI অনুযায়ি Dearness Allowance দাবিতে সরব রাজ্য সরকারি কর্মীদের একংশো। এই নিয়ে আদালতে আইনি লড়াই লড়ছে তারা। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ গিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের (West Bengal Government Employees) পক্ষে।

কিন্তু রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal) সুপ্রিমকোর্টে (Supreme Court Of India) দারস্থ হওয়াতে এখন এই মামলা সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানি আছে, আর এই শুনানিতে কোর্টের তরফে Dearness Allowance নিয়ে ঠিক কি জানানো হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন সকল রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
Written by Ananya Chakraborty.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *