Primary TET 2014 প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি সংশয়ে, CBI এর বিজ্ঞপ্তি, 15000 ভুয়ো শিক্ষক চিহ্নিত!
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (WBBPE Primary TET 2014) জেরবার বাংলা। একের পর এক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) এবং ইডি(ED). প্রায় প্রতিদিনই নিত্য নতুন পর্যবেক্ষণ আসছে আদালতের তরফে। কখনো চাকরি বাতিল, কখনো OMR শিটের আসল তথ্য, কখনো কত টাকার লেনদেন হয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য, একেবারে জটিল অবস্থা। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষা দপ্তরের একাধিক প্রাক্তন আমলারা।
দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। এবার আবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) তরফে প্রায় ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যার জেরে নতুন করে সঙ্কটে পড়েছেন ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত Primary TET 2014 এর নব নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকেরা।
WBBPE Primary TET 2014 Recruitment Scam:
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET 2014) ও এই সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারাধীন রয়েছে। এই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট একের পর এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বহু অভিযোগ উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতেই জানা গিয়েছে, প্রাথমিক টেটের (Primary TET) ২০১৪ সালের ভিত্তিতে নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষকদের নাম, টেট পরীক্ষার রোল নম্বর সহ সমস্ত তথ্য পাঠাতে হবে।
এই সমস্ত তথ্য শিক্ষকদের এস আই অফিসের দ্বারা ডিপিএসসিতে (DPSC) পাঠাতে হবে। রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত (Primary TET 2014) যাবতীয় তথ্য পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) চেয়ে পাঠিয়েছে। পর্ষদের তরফে ইতিমধ্যেই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তাদের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে। এই সংখ্যাটা প্রায় ৪৩ হাজার।
সিবিআইয়ের নির্দেশের পরেই প্রায় ৪৩ হাজার প্রাথমিকের শিক্ষকের যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর এর ফলেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেহেতু নিয়োগ দুর্নীতির মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন। প্রায় প্রতিদিনের শুনানিতে একের পর এক নতুন পর্যবেক্ষণ উঠে আসছে। ফলে পর্ষদের তরফে ২০১৪ সালের ভিত্তিতে যে সমস্ত শিক্ষকেরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাদের যাবতীয় তথ্য পাঠানোর জরুরী ভিত্তিতে নির্দেশ দেওয়ায় বিভিন্ন ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত বছর সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকের টেট পাশ ও নিয়োগ সংক্রান্ত প্রায় ১৩টি নথি প্রত্যেক Primary TET 2014 প্রাথমিক শিক্ষক কে জমা দিতে হয়েছিলো। সেই সমস্ত নথি স্ক্রুটিনি করে চলতি বছরেই যাচাই করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর গত মাসে মহামান্য কোলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে, গত ২৫শে এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সমস্ত জেলার DPSC কে নির্দেশ দেয় যে, ২৬শে এপ্রিল থেকে ২২ শে মে এর মধ্যে প্রত্যেক জেলাকে নির্দিষ্ট দিনে এক্সেল ফরম্যাটে সমস্ত শিক্ষকের Primary TET 2014 সংক্রান্ত তথ্য CBI এর নিজাম প্যালেসে জমা করতে হবে।
আর এর পরই প্রত্যেক শিক্ষকের Primary TET 2014 সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেটা যাচাই করবে CBI ও ED. কার্যত এই নির্দেশের পর নতুন করে আশংকায় ভুগছেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা। এবং সূত্রের খবর, এই নথিতে ১৫০০০ নাম দুর্নীতির লিস্টে উঠে আসতে পারে। এবার এটাই দেখার এই মামলার ভবিষ্যৎ কি হয়।
এই মামলায় কাদের টেনশন বেশি, আর কাদের চিন্তার কারন নেই জানতে এখানে ক্লিক করুন।
This is what our HON’BLE WEST BENGAL GOVERNMENT!!!!!!