ব্যাবসা

দ্রুত ব্যবসায় উন্নতি করতে চান? এই ৬ টি নিয়ম মেনে চলুন

সময়ের সাথে যে হারে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে তাতে সমগ্র ভারতের সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের চাকরি যথেষ্ট ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। আর এই মুদ্রাস্ফীতির বাজারে ভারতীয় যুবক-যুবতীরা চাকরির বদলে নিজস্ব ব্যবসা শুরুর দিকেই আরো অনেক বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেছে। কিন্তু ব্যবসা শুরু করার আগে কিংবা ব্যবসা চালানোর সময় আপনাকে বেশ কতোগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, নয়তো কোনোভাবেই ওই ব্যবসা থেকে সফলতা লাভ করতে পারবেন না।

অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্ত বিষয়গুলিকে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে ব্যবসার শুরু করার পরই লোকসানের মুখ দেখতে হয় নতুন ব্যবসায়ীদের। আর তাতেই বর্তমানের যুব প্রজন্ম ব্যবসা সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যগুলি জানার পরেই নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী। তবে সমস্ত তথ্য জানতে চাইলেই সবসময় তা হাতের কাছে পাওয়া যাবে এমনটাও নয়, অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবসা সম্পর্কিত টিপস পাওয়ার জন্য নতুন ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু টাকাও খরচ করতে হয়। আর তাই আজ আমরা আপনাদের সকলের সুবিধার জন্য ব্যবসা সম্পর্কিত এমন কিছু টিপস নিয়ে হাজির হয়েছে যেগুলো মেনে চললে আপনার ব্যবসার নিশ্চিতভাবে লাভের মুখ দেখবে।

১. প্যাশন:- আপনি যে কাজই করুন না কেনো সেই কাজটিকে ভালোবেসে করতে হবে, তা সে চাকরি হোক কিংবা ব্যবসা। একইভাবে ব্যবসার ক্ষেত্রেও আপনি যে বিষয়টি নিয়ে জানেন, যেগুলি নিয়ে চর্চা করতে ভালোবাসেন সেই সমস্ত জিনিসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। একটি ব্যবসা দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে একজন ব্যবসায়ীকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয় আর আপনি যদি সেই যাত্রাটিকে উপভোগই না করেন তাহলে ব্যবসা বাড়বে কি করে? সুতরাং, আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্ত কাজকে উপভোগ করুন এবং নিজের সমস্ত ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সেই ব্যবসাটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করুন। তাহলেই আপনার ব্যবসা লাভের মুখ দেখবে।

এবার থেকে টিভি দেখার জন্য করতে হবে অতিরিক্ত খরচ

২. চাকরি এবং ব্যবসা পাশাপাশি থাক:- একটি ব্যবসাকে দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়ে থাকে, যদিও অনেক ব্যবসার ক্ষেত্রে কম বিনিয়োগেরও প্রয়োজন হয়। আর ব্যবসা ক্ষেত্রে এই বিনিয়োগের জোগান দিতেই ব্যবসার পাশাপাশি একটি ছোটখাটো চাকরি করাই যেতে পারে। সুতরাং, ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের পুঁজি জোগাড় করে তবেই চাকরি ছাড়া উচিত। ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কোনোভাবেই চাকরি ছাড়া চলবে না। একবার আপনার ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেলে তখন আপনি অনায়াসেই চাকরি ছাড়তে পারেন।

৩. সাপোর্ট:- ব্যবসা শুরুর আগে হোক বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করার সময় শারীরিক শ্রম দিয়ে সাহায্যের পাশাপশি মানসিক সাপোর্ট প্রয়োজন হয়, তা সে বন্ধু হোক বা আত্মীয় বা পরিবারের সদস্য। এক্ষেত্রে আপনি ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ভরসাযোগ্য যেকোনো কারোর পরামর্শ, সাহায্য নিতে পারেন।

৪. ব্যবসার পরিকল্পনা:- ব্যবসা শুরুর আগে সেই ব্যবসা সংক্রান্ত রূপরেখা নির্ধারণ করে নেওয়া প্রয়োজন। যার ফলস্বরূপ আপনি ওই পরিকল্পনা অনুসারেই ব্যবসায় প্রথমে কতো টাকা ইনভেস্ট করবেন, কাঁচামাল কিনবেন কোথা থেকে, আপনার টার্গেট গ্রাহক কারা এগুলি নির্ধারণ করতে পারবেন। এমনকী আপনি কিভাবে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করবেন তাও নির্ধারণ করতে পারবেন।

৫. পেশাদারের সাহায্য:- ব্যবসা যতো অগ্রসর হবে আপনার ততোই পেশাদারের সাহায্য প্রয়োজন হবে। পেশাদার হিসেব রক্ষক থেকে শুরু করে আইনজীবী, এমনকী বড় কোনো ব্যবসায়ীর সাহায্যও প্রয়োজন হতে পারে। এর ফলে আপনার পরিশ্রম এবং শ্রম দুইই বাঁচবে এবং আপনি ব্যবসার ক্ষেত্রে মনোযোগ করতে পারবেন।

৬. আয়কর:- ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে জিএসটি চার্জ-এর দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। আয়করের ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে আপনাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে। সুতরাং, শুরু থেকেই এসকল বিষয়গুলি নিয়ে ভাবতে হবে। আগামীদিনে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়গুলি মাথায় রাখলেই আপনার নতুন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে কোনোরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না, এমনকী এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলে আপনার ব্যবসা অতি দ্রুত প্রতিষ্ঠিতও হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *