স্কলারশিপ

আবেদন করুন এলআইসি স্কলারশিপে এবং পেয়ে যান সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা

ভারতের অন্যতম পরিচিত বীমা সংস্থা এলআইসি-এর তরফে ভারতের বিভিন্ন স্তরে ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এলআইসি স্কলারশিপ কার্যকরী করা হয়েছে। এই স্কলারশিপের অধীনে ভারতের পিছিয়ে পড়া ক্ষেত্রের ছাত্রছাত্রীদের অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করা হয়ে থাকে। মূলত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই এলআইসি হাউজিং ফাইন্যান্স লিমিটেড-এর তরফে স্কলারশিপটির অধীনে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। দশম শ্রেণী থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর স্তরে ছাত্রছাত্রীরা পর্যন্ত এই স্কলারশিপের অধীনে অনুদান পাবার ক্ষেত্রে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারে।

যোগ্যতা:-
১. আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।

২. আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অবশ্যই ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

৩. যেসমস্ত ছাত্র অথবা ছাত্রীর পরিবারের বাৎসরিক ইনকাম ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বা তার থেকে কম তারাই কেবলমাত্র এই স্কলারশিপের অধীনে আবেদনের ক্ষেত্রে যোগ্য।

আবেদনের প্রক্রিয়া:- আপনি বাড়িতে বসেই এলআইসি এইচএফএল বিদ্যাধন স্কলারশিপের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যে সরল পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করতে হবে সেগুলি হলো:-
১. আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে buddy4study -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.buddy4study.com/page/lic-hfl-vidhyadhan-scholarship -এ যেতে হবে।

২. এরপর আপনার সামনে যে পেজটি আসবে তাতে আপনি উক্ত স্কলারশিপ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দেখতে পারবেন। ওই পেজের একেবারে নীচে থাকা Apply Now অপশনে ক্লিক করলেই আপনার কাছে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফর্মটি আসবে।

৩. তারপর আপনাকে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট, মেইল অ্যাড্রেস অথবা ফোন নম্বরের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।

সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে গ্রুপ-C ও গ্রুপ-D পদে কর্মী নিয়োগ, আবেদন করুন মাধ্যমিক পাশে

৪. রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলেই আপনার সামনে যে পেজটি আসবে তাতে থাকা Start Application অপশনে ক্লিক করলেই আপনার সামনে এলআইসি এইচএফএল বিদ্যাধন স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফর্মটি আপনার সামনে চলে আসবে।

৫. ওই ফর্মে আপনার নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ঠিকানা সহ প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যগুলি উল্লেখ করতে হবে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলি আপলোড করতে হবে।

৬. এরপর একেবারে শেষে থাকা Terms and Conditions গুলি অ্যাকসেপ্ট করতে হবে এবং Preview অপশনে ক্লিক করতে হবে। Preview অপশনের মাধ্যমে আপনি আপনার সম্পূর্ণ আবেদনপত্রটি দেখতে পারবেন।

৭. সমস্ত তথ্য ঠিক থাকলে এবং সমস্ত নথি সঠিকভাবে আপলোড করা হলে Submit অপশনে ক্লিক করলেই আবেদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।

আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি:-
১. ফটো আইডেন্টিটি প্রুফ (আধার কার্ড/ PAN কার্ড/ পাসপোর্ট)।
২. বিগত পরীক্ষার মার্কশিট।
৩. বাৎসরিক আয়ের প্রমাণপত্র ( ফর্ম ১৬ A/ সরকারের তরফে অনুমোদিত আয়ের সার্টিফিকেট/ স্যালারি স্লিপ)।
৪. যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমাণপত্র।
৫. বর্তমান বছরে ভর্তির রশিদ।
৬. ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস।
৭. জাতিগত শংসাপত্র।
৮. প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট।

নির্বাচনের প্রক্রিয়া:- এই স্কলারশিপের অধীনে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি বছর ২০,০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে কারা স্কলারশিপের অধীনে অনুদান পাবেন তা নির্বাচনের প্রক্রিয়া কতোগুলি ধাপে সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে। প্রথমেই ছাত্রছাত্রীদের তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পারিবারিক আয়ের ভিত্তিতে শর্টলিস্ট করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রার্থীদের Online aptitude test নেওয়া হয়ে থাকে। সবশেষে টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের তাদের টেলিফোনের মাধ্যমে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়ে থাকে। যারা এই ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হবে তারাই কেবলমাত্র এই স্কলারশিপের অধীনে অনুদান পাওয়ার যোগ্য।

আবেদনের সময়সীমা:- স্কলারশিপের অধীনে আবেদনের প্রক্রিয়া সাধারণত অক্টোবর মাসে কার্যকরী করা হয়ে থাকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *