ফোনপে – গুগল পে ব্যবহার করেন? আপনার জন্য রয়েছে খুশির খবর
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সাধারণ মানুষের অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন পেমেন্ট অ্যাপ মারফত টাকা লেনদেনের প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবে এটি শুধু পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের ক্ষেত্রে নয়, বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, সমগ্র ভারতের নাগরিকদের ক্ষেত্রেই অনলাইনের মাধ্যমে ইউপিআই মারফত লেনদেনের প্রবণতা বাড়ছে। আর তাতেই ক্রমান্বয়ে গুগল পে, ফোন পে, পেটিএম-এর মতো থার্ড পার্টি অ্যাপগুলির চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা দুই’ই বাড়ছে। ইতিপূর্বে অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে উৎসবের আমেজে গুগল পে, ফোন পে কিংবা পেটিএম-এর মতো অ্যাপগুলির মাধ্যমে প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছিলো। আর তাতেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছিলেন ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া-এর কর্তারা।
আর তাতেই ভারতের নাগরিকদের ক্ষেত্রে ইউপিআই পেমেন্টের জন্য গুগল পে, ফোন পে-এর মতো অ্যাপগুলি যাতে একচেটিয়া না হয়ে ওঠে তা নিশ্চিত করতেই এনপিসিআই-এর তরফে ইতিপূর্বে জানানো হয়েছিলো যে, একটি পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে দেশের মোট লেনদেনের কতো শতাংশ লেনদেন করা যাবে তা নির্ধারণ করে দেবে এনপিসিআই। ওই নির্দেশিকায় পেমেন্ট অ্যাপগুলিকে আরও জানানো হয়েছিলো যে, সমগ্র দেশের ইউপিআই ট্রানজাকসনের ৩০ শতাংশ একটি পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে করা যেতে পারে। এর বেশি লেনদেন কোনোভাবেই করা সম্ভব নয়। নভেম্বরের শুরুতেই এই বিশেষ নির্দেশিকাটি প্রকাশ করা হয়েছিলো এনপিসিআই-এর তরফে। এর পাশাপাশি, এও জানানো হয়েছিলো যে, এই ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং এনপিসিআই-এর তরফে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে এখনও আবেদন করেননি? সরকার দিলো আরো বড়ো সুযোগ
আর এই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করেই রাজ্যের জনগণ তথা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে নানা প্রকার জল্পনা-কল্পনা এবং বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তবে এবারে সেই সমস্ত বিতর্ককে উড়িয়ে দিয়ে এনপিসিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, আগামী দিনে এই মোবাইল অ্যাপগুলির মাধ্যমে দেশের মোট ইউপিআই লেনদেনের কতো শতাংশ সম্পন্ন করা যাবে তা সীমাবদ্ধ করার সময় সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হলো। বিগত শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি মারফত গুগল পে, ফোন পে এবং পেটিএম-এর মতো অ্যাপগুলি সহ সমগ্র দেশের সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ সীমাবদ্ধ করার সময়সীমা পিছিয়ে ৩১শে ডিসেম্বর,২০২৪ করা হয়েছে, যদিও ইতিপূর্বে এই সময়সীমা ছিল ৩১শে ডিসেম্বর,২০২২ তারিখ পর্যন্ত।
এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সবার আগে পেতে যুক্ত হন আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে – Link
এই সমস্ত অনলাইন পেমেন্ট সংস্থাগুলির প্রতিনিধি এবং কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের সাথে বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এনপিসিআই-এর তরফে। আর এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট খুশি অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপগুলির কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে যে, ইউপিআই-এর মাধ্যমে মোট লেনদেনের উপরে কোন অ্যাপের কতো শতাংশ ভাগ থাকবে তা সংক্রান্ত কোনো তথ্যও প্রকাশ করা হয়নি এনপিসিআই-এর তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, শুধুমাত্র গুগল পে এবং ফোন পে নামক অ্যাপ দুটিই সমগ্র লেনদেনের প্রায় ৮০ শতাংশ দখল করে রয়েছে। অন্যদিকে, পেটিএমের ভাগে রয়েছে ১০.৬৫ শতাংশ এবং Cred এর ভাগে রয়েছে ১.৮ শতাংশ।