ব্যাবসা

বাড়িতে বসে ব্যবসা – একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বিনা মূলধনে ঘরে বসে মোটা টাকা আয় করার 6টি সহজ উপায়।

বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানভাবে বাড়িতে বসে ব্যবসা, শিক্ষাগত ক্ষেত্র থেকে পেশাগত ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে। যদিও অনেক জায়গায় গোঁড়ামি এখনও বর্তমান। কিন্তু আজকাল নারীরা বাড়িতে বসেই প্রতি মাসে রোজগার করতে পারেন মোটা অঙ্কের টাকা। আর তা উন্নত তথ্য-প্রযুক্তির জন্য আরো সহজ হয়েছে। বাড়িতে বসে এই পেশাগুলি বেছে নিয়ে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে চালনা করলেই কেল্লাফতে। তাহলে চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

শুরু করুন বাড়িতে বসে ব্যবসা আর পিছনে ফিরে দেখতে হবে না।

১) কোচিংঃ
অতিমারীর আবহের আগে টিউশন পড়ানো বা অন্যান্য বিষয়ে বাড়িতেই কোচিং ক্লাস চালাতেন, এমন অনেকেই রয়েছেন। কিন্তু ভয়াবহ অতিমারীর সময়ে বা লকডাউন পরবর্তী সময়ে কোচিং এর স্টুডেন্ট সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। এই অবস্থায় মাসিক আয়ও কমেছে। বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এই আয় বাড়ানো সম্ভব।

লোকসান ছাড়াই কম পুঁজিতে এই ব্যবসা করে আয় করুন মাসিক 30 হাজার টাকা, কিভাবে করবেন জেনে নিন।

যেমন কোনো ব্যক্তির যদি নাচের প্রতি আগ্রহ থাকে, পারদর্শী হন, শিশু বা বড়দের জন্য সেই ভিডিও করে ইউটিউবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ বানিয়ে পোস্ট করতে পারেন। সেগুলি দেখে ভিউয়াররা উৎসাহিত হলে সাবসক্রাইবার সংখ্যা বাড়বে। সেখান থেকে প্রতি মাসে মোটা টাকা রোজগার করা যাবে।

২) রান্নার রেসিপির ভিডিওঃ
আজকাল অনলাইনে সার্চ করলেই তৎক্ষণাৎ রকমারি রান্নার রেসিপির ভিডিও দেখা যায়। তা দিয়েই বাড়িতে বসে ব্যবসা করে প্রতি মাসে মোটা টাকা রোজগার করা যাবে। আপনিও যদি রান্না-বান্নায় চৌখুশ হন, তাহলে রান্নার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করতে পারেন। সেখানে এনিত্য-নতুন রেসিপির ভিডিও আপলোড করতে পারেন। তা দেখে দর্শকদের ভালো লাগলে, চ্যানেলটি খোলার কিছুদিনের মধ্যেই মনিটাইজ হয়ে যাবে। আর তা দিয়েই ভালো টাকা রোজগার করা যাবে।

৩) টিফিন পরিষেবাঃ
কেবলমাত্র রান্না-বান্নার গন্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকেন না অনেক মহিলা। পাশাপাশি টিফিন সার্ভিস দেওয়ার ব্যবসাও শুরু করেন অনেকে। এই বাড়িতে বসে ব্যবসা ভালো পরিচালনা শক্তির মাধ্যমেই করা সম্ভব। আপনিও নিজের এলাকার বা আশেপাশের ব্যাচেলর এবং চাকুরীজীবী বা বয়স্ক মানুষের জন্য বিকাল এবং রাতের টিফিন পাঠানোর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। একবার খাবার ভালো লাগলে কাস্টমার সংখ্যা কমবে না। আর ব্যবসার পরিসর বাড়াতে হলে রাস্তায় ব্যানার বা পোর্টফোলিও লাগানো যেতে পারে। এই ব্যবসা শুরু করতে সামান্য খরচ হবে। ব্যবসার জনপ্রিয়তা বাড়লে তা থেকে মাসে মাসে ভালো টাকা রোজগার করা যাবে।

৪) বুটিকঃ
বর্তমানে বুটিকের জামাকাপড়ের চাহিদা কম নয়। বুটিকের বাড়িতে বসে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। আর যদি আপনার ফ্যাশনেবেল জামাকাপড় ডিজাইনের কাজ জানা থাকে, অর্থাৎ কাটিং, টেইলারিং জানেন, তাহলে বুটিক সহজেই চালাতে পারবেন। আর বিক্রিরও চিন্তা থাকবে না। কারণ এখন অনলাইনের সাহায্যেই জামাকাপড় বিক্রি করা সহজ। পেমেন্টও অনলাইনে পাঠানো যায়। তাহলে দেরি না করে বাড়িতে বসে ব্যবসা শুরু করেদিন।

৫) টেরো কার্ড রিডারঃ
টেরো কার্ড সম্পর্কে অনেকেই জানেন। এই কার্ডগুলি সহযোগে ভিডিও আপলোড করা হয় ইউটিউবে। এই নিয়ে বেশ অনেকগুলি চ্যানেল রয়েছে, যাতে ভিউয়ার সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। আপনিও যদি এই নিয়ে জেনে থাকেন, তাহলে নিজস্ব ভাষায় এই নিয়ে ভিডিও আপলোড করতে পারেন নিজস্ব চ্যানেলে। একবার চ্যানেল মনিটাইজ হলে এবং সাবসক্রাইবার সংখ্যা বাড়লে তা থেকে ভালো টাকা রোজগার করা যাবে।

বাংলার ডেয়ারি ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার মাধ্যমে প্রতিমাসে স্বনির্ভর হয়ে রোজগার করুন।

৬) ফ্রিল্যান্সিংঃ
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেও মাসে মাসে টাকা রোজগার করা সম্ভব। আপনিও যদি ভালো গল্প, আর্টিকেল লিখতে পারেন বা টাইপিং স্পিড অত্যধিক থাকে, সেখান থেকে মোটা টাকা রোজগার করতে পারবেন। বর্তমানে এই সকল কাজ অনলাইনেই সম্ভব। তাই বাড়িতে বসে ব্যবসা চটজলদি করতে পারবেন।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *