চাকরি

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের তালিকা তৈরি, আদালতের নির্দেশে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে শিক্ষা দপ্তর।

বেআইনি কাজের পান্ডা শিক্ষক- শিক্ষিকাদের একাংশ!!! যারা শিক্ষকতার (Teachers) চাকরি করেন, শিক্ষাদান করার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন, তারাই আবার বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ কাজ (Illegal Work Done by Teachers) আবার এই শিক্ষকদেরই দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে আন্দোলন তৈরি করতে। এই সমস্ত শিক্ষকেরাই সরকার তাদের ন্যায্য পাওনা দিচ্ছে না বলে চেচাতে থাকেন। নিজের পছন্দমতো জায়গায় ট্রান্সফার (Teacher Transfar) সহ বহু দাবি জানাতে থাকেন।

রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হল সরকারের তরফে।

কিন্তু নিজের কর্মের জায়গায় চরম বেআইনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক- শিক্ষিকাদের একাংশ, যা কোনো মতেই বরদাস্ত করা যায় না। আর সেই দিকে নজর দিয়েই রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) তরফে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও (Calcutta High Court) কড়া নির্দেশ রয়েছে। এবার সেই সমস্ত অবৈধ কাজের সঙ্গে যে সমস্ত শিক্ষক- শিক্ষিকারা যুক্ত রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য (Punishment) পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার।

সরকারি স্কুল (Government Schools) এবং সরকার পোষিত স্কুলের কর্মরত Teacher দের প্রাইভেট টিউশন করা (Private Tuition Illegal for School Teachers) বেআইনি। অথচ এখনো শোনা যাচ্ছে, রাজ্যজুড়ে কর্মরত একাংশ School Teacher বহাল তবিয়তে প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার তাদের নামের তালিকা তৈরি করা শুরু করেছে সরকার, তারপরেই শুরু হবে কড়া অ্যাকশন।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) তরফে ২০১৮ সালে জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলির কর্মরত কেউই প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। কিন্তু এরপরেও পুরোপুরি সেই ছবি বদলায়নি। প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (Private Tuition Wellfare Association) তরফে জেলায় জেলায় প্রাইভেট টিউটরদের নামের তালিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

WB School Teachers Does Not Take Private Tuition.

পাশাপাশি, এই সংগঠনের তরফে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে (West Bengal School Education Department) অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়, এখনো সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলির কর্মরত বহু শিক্ষক- শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের (School Students) তাদের কাছে প্রাইভেট টিউশন নেওয়ার জন্য চাপ পর্যন্ত তৈরি করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা (Public Interest Litigation) দায়ের করা হয়।

সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ (Divison Bench) তিন মাসের মধ্যে এই সমস্ত School Teacher বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়।সেই অনুযায়ী সরকারের তরফে ইতি মধ্যেই প্রতিটি জেলায় যে সমস্ত সরকারি স্কুলের কর্মরত অনেকেই প্রাইভেট টিউশন করছেন, তাদের নামের তালিকা তৈরি করা শুরু হয়েছে। এই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করা হয়েছে।

WBBPE TET (পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক টেট)

রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে যা রিপোর্ট এসেছে, তাতে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলায় সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলির কর্মরত Teacher দের একাংশের বিরুদ্ধেই বেশি সংখ্যায় প্রাইভেট টিউশন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তাই তাদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে কড়া পদক্ষেপের পথেই হাঁটছে রাজ্য সরকার।

Holiday List – আগস্টে টানা 4 দিন ছুটি পাবেন সরকারি কর্মীরা স্কুল, কলেজ, অফিস সব বন্ধ?

Related Articles

4 Comments

  1. The teachers who are drawing salary from the Govt. fund but not abiding by the Govt. rule should be brought to book according to law.

  2. খুবই ভাল পদক্ষেপ। মনে হয় সরকারের উদ্দএশ্য প্রতিশোমূলক বলেই মনে হচ্ছে। ডিএ আন্দোলন কে কমজোরি করতে এই সময়টা বেছে নেওয়া হচ্ছে। এখনও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা কর্মীদের সরকারি কর্মী হিসাবে ঘোষনা করা হচ্ছে না কেন? তাদের মারফত রাজনৈতিক দলগুলো পুষ্ট কেন? বিশুদ্্ধ সরকারি কর্মীদের প্রত্যক্ষ রাজনীতি করা ও নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ। একই ভাবে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন পাওয়া শিক্ষক,অধ্যাপক, শিক্ষা কর্মী, পুর ও পঞ্চায়েত কর্মীরা কেন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে বা রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবে? সরকারি চিকিৎসক গন কেন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন? চিকিৎসক, অধ্যাপক, শিক্ষকরা ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নে ১০০% বাড়তি উপার্জনের তথ্য পেশ করেন? সম্ভবত কেউ করেন না।ব্যতিক্রম অবশ্যই থাকতে পারে। সরকার কে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহন করতে হবে। মহার্ঘ ভাতা বিষয়ে ২০০৯ সালে পঞ্চম বেতন কমিশনে ** সর্ব ভারতীয় মঊল্য সূচক** মেনে মহার্ঘ ভাতা দেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি মতন মহার্ঘ ভাতা বা অন্যান্য ভাতা দেওয়া হচ্ছে না কেন। সাংবাদিক বা সংবাদ মাধ্যমের এই বিষয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পাওনার ব্যাপারে বাকি রাজ্যের সাথে তুলনা করেন ও বারংবার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা উল্লেখ করেন অথচ কর্মীদের প্রতি বঞ্চনা করে চলেছেন গত ১৩ বছর ধরে।এটা অপরাধ নয়? পেনশনারদের কোন বার্ষিক বৃদ্ধি হয় না।তাদের কি ভাবে দিন চলে, এই সরকার সেদিকে নজর দেয়?

  3. যদি সরকারকে তার সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয় তাহলে তাদেরকে কিছু কর্মের ব্যবস্থা করে দেওয়া দরকার।যেহেতু টাকা দিয়ে বা ঘুষ দিয়ে চাকরি করছে সেহেতু তাদের শিক্ষকতার কোনো যোগ্যতা নেই।তাদের কে কোনো ইন্টারভিউ নয় সমস্ত exam দিয়ে পাস করতে হতো।তাই পদক্ষেপ টা সেইভাবে নেওয়া দরকার।আর একদিকে তাদের চাকরি বাতিল হলে তারা বেকার হয়ে অনেকে হয়তো অনেক depression এ চলে যাবে।প্রয়োজনে কাকে কিভাবে টাকা দিয়েছে তা বের করে সবাইকে আইন গত ভাবে ঘুষখোর দের শাস্তি দেওয়া দরকার আর সেই সঙ্গে টাকা ফেরত।টাকা ফেরত নিয়ে হয়তো তারা কিছু করতে পারবে বেকার থাকবে না।ঘুষখোর ছিনহিতি করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়াটাই একান্ত কাম্য বলে আমার মনে যার জন্য emplyee রা অভিযুক্ত।আরো একটা ব্যাপার তাদের জন্য এখন যারা exam দিচ্ছে চাকরির জন্য তারা চাতকের মত চেয়ে থাকতে থাকতে চরকি পেতে পেতে চুল দারি পেকে যাচ্ছে যারা tet qualified,
    যারা পাস করে আছে তাদেরই join হলো না ,তারপর আবার নতুন নিয়োগের জন্য exam শুরু , কি করে হবে???
    বিষয়টা কৌতুক মনে হচ্ছে না????
    আমার ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে লজ্জা লাগছে।
    ভাবতে অবাক,হতাশ,রাগ কতরকমের আবেগের প্রকাশ হচ্ছে বলে বোঝাতে পারছি না।
    তাই এর সঠিক সুরাহা অতি সত্বর হওয়া দরকার।
    কি চলছে ১০ বছর ধরে….???

    কবে হবে এর সমাধান???

  4. ১% নয়, ৫০% মজাসে private tuition করে যাচ্ছেন আর TA. , DA. এর জন্য চেঁচিয়ে যাচ্ছেন। শিব ঠাকুরের আপন দেশে, নিয়ম- কানুন সব্বোনেশে …. !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *