Load Shedding – লোডশেডিং এর সমস্যা আরও গুরুতর হবে রাজ্যে, কবে সুরাহা মিলবে? জানিয়ে দেওয়া হল।
দিন দিন লোডশেডিং (Load Shedding) এর মাত্র বেড়েই যাচ্ছে রাত্রে দিনে সমান তালে লোডশেডিং হয়ে যাচ্ছে। এই লোডশেডিং এর জেরে রেগে ফুসছে বাংলার আমজনতা। আরো কি বাড়বে লোডশেডিং? কেনো হচ্ছে লোডশেডিং এতো? বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে যে পুজোর জন্য এতো লোডশেডিং করা হচ্ছে যাতে পুজোর সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে অসুবিধার মুখে পড়তে না হয় তার জন্য লোডশেডিং করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে গত পনেরো বছরে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি হয়নি।
Load Shedding Problem Hike In West Bengal.
পুরোন প্রকল্পে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে পুজো পর্যন্ত আশ্বাস দিলেও কি মিটবে এই সমস্যা উঠছে প্রশ্ন। একাধিক জায়গায় পাওয়ার কাট এর সমস্যা নিয়ে ভুগছে সাধারণ মানুষ। গরম যত বাড়ছে লোডশেডিং (Load Shedding In West Bengal) এর মাত্র তাতো বাড়ছে। কলকাতা থেকে জেলার প্রত্যেকটি জেলা, শহরতলি থেকে গ্রাম সব জায়গায় এক অবস্থা।বিদ্যুৎ দফতরের SMS আসছে গ্রাহকদের মোবাইলে।
সেখানে লেখা হয়েছে প্রাক পুজোর আগে মেন্টেনেন্সের কারণে দিনে ও রাতে বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ। পুজোর সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়াই বিদ্যুৎ দফতরের (WBSEDCL) লক্ষ্য সেই উদ্দেশ্যেই আপাতত এই কাজ চলবে। যদিও শুধু এই কারণকে মানতে চাইছেন না অনেকে। যদিও শুধু এই কারণকে মানতে চাইছেন না অনেকে। নতুন প্রকল্প না আসাকেও দুষছেন একাংশ।
যেহেতু গত পাঁচ বছরের তুলনায় শহর ও শহারাঞ্চল মিলিয়ে এসির সংখ্যা অনেক বেড়েছে। একই সঙ্গে গরম থেকে রেহাই পেতে এসি (AC) ছাড়াও একাধিক বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়ে গেছে। ফলে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই ৭০০ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ দিয়েছে পি ডি সি এল। ফলে জেলা জুড়ে বেড়েছে লোডশেডিং (Load Shedding).
বিশেষজ্ঞদের মতে গত পনেরো বছরে নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি হয়নি। পুরোনো প্রকল্পে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। লাগাতার লোডশেডিং (Load Shedding) এর কারণে বিপাকে পড়েছেন দূর্গা পুজো কমিটির সদস্য দের থেকে শুরু করে রানাঘাটের সুভাষপল্লির তাঁত শিল্পীরা। প্রতিদিন লোডশেডিং এর জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁদের। সেই ক্ষোভেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁত শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার সকাল ন’টার কিছু পর থেকে রানাঘাট কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে অবরোধ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে আসেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা, খবর যায় পুলিশেও। শেষে বিদ্যুৎ কর্মীদের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। একই ছবি দেখা গিয়েছে ঝাড়গ্রামেও। বৃহস্পতিবার রাতভর দফায় দফায় লোডশেডিং (Load Shedding) বিপর্যস্ত জেলার জনজীবন। প্রবল গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের।
বৃহস্পতিবার, গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ লোডশেডিং (Load Shedding) শুরু হয় ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। ঘণ্টা দুয়েক লোডশেডিং থাকার পর রাত একটার দিয়ে আসে কারেন্ট। কিন্তু, ফের ভোরের দিকে লোডশেডিং হয়। শুধু ঝাড়গ্রাম, রানাঘাট বা কলকাতা না উত্তর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা সর্বত্র একই অবস্থা। গত পরশু দিন দক্ষিণ দিনাজপুর এর বুনিয়াদপুর এও ইলেকট্রিক অফিস এর সামনে বিক্ষোভ দেখায় পাবলিক, পরে বিক্ষোভ উঠে যায়।
রাজ্যের এ অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের দেউলিয়া সরকার পয়সার অভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা কমাতে বাধ্য হয়েছে।
যার ফলে এখন ঘাটতির পরিমাণ ১২০০ মেগাওয়াট।” অথচ রাজ্য সরকার বারবার দাবি করছে এ রাজ্যে বিদ্যুৎ এটাই বেশি, যে বাইরের রাজ্যে তা সাপ্লাই করা যাচ্ছে। দিন কয়েক আগেও বিধানসভায় বলেছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কিন্তু রাজ্যে (West Bengal) লোডশেডিং (Load Shedding) এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তার এই দাবিতেও অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
Gold Price Today – সেপ্টেম্বরের শুরুতেই কমে গেল সোনার দাম। পশ্চিমবঙ্গে আজকের সোনা রূপোর