গুরুত্বপূর্ণ খবর

E Shram Card – ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন কিভাবে করবেন? কি কি সুবিধা পাবেন?

কেন্দ্র সরকার দেশের সব মানুষদের জন্যেই নানা ধরনের প্রকল্প নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্প হল ই শ্রম কার্ড (E Shram Card) প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা দেওয়া হবে সরকারের তরফে। এই প্রকল্প যবে থেকে চালু করেছে সরকার তবে থেকে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই প্রকল্প। এখনো পর্যন্ত দেশের প্রায় 29.60 কোটি মানুষ এই প্রকল্পের (Government Scheme) আওতায় নাম লিখিয়েছেন (Payment Card).

E Shram Card 2024 Benefits.

কেন্দ্র সরকার দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্যেই এই E Shram Card চালু করেছে, যার উদ্দেশ্য হল অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের ডাটাবেস তৈরি করা ও তাদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া। যারা এখন পর্যন্ত এই কার্ড তৈরি করেননি বা ভাবছেন তৈরি করবেন তাদের জন্যে আজকের এই প্রতিবেদন। আজ আপনাদের বলব কিভাবে বাড়িতে বসেই ফোনের মাধ্যমে ই শ্রম কার্ড (E Shram Card Online) তৈরি করবেন।

ই শ্রম কার্ড কি?

ই শ্রম কার্ড (E Shram Card Benefits) হল কেন্দ্র সরকারের একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মরত শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই কার্ড একটি বিস্তর ডাটাবেস হিসেবে কাজ করে যেখানে শুধুমাত্র কর্মীদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ নয় তাদের জন্যে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং সুবিধা গুলো দিতে সুবিধা হয়।

ই শ্রম কার্ড কারা করতে পারবে?

16 থেকে 59 বছর বয়সী যেকোনো অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। এতে শ্রমিক, দৈনিক মজুরিতে উপার্জনকারী এবং ওলা, উবের, অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের প্ল্যাটফর্ম কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যে সব কর্মী ভবিষ্যৎ তহবিল সংস্থা (EPFO), রাজ্য বীমা কর্পোরেশন (ESIC), জাতিয় পেনশন স্কীম (NPS) এ নাম নথিভুক্ত থাকে তাহলে ই শ্রম কার্ড (E Shram Card Online Apply) এর জন্যে আবেদন করতে পারবে না।

ই শ্রম কার্ডে কত টাকা দেবে?

আমরা পুরবেও শুনেছি যে দেশের সকল অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের ভবিষ্যতের সুরক্ষার কোথা মাথায় রেখে এই ই শ্রম কার্ড (E Shram Card Check Balance) তৈরি করা হয়েছে। আর এই কার্ডের মাধ্যমে সকলকে পেনশন (Pension) রূপে মাসিক ৩০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই সম্পর্কে কার্ডটি তৈরি করলে আপনাদের আরও বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।

ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন ও ই শ্রম কার্ড আপডেট

1) প্রথমে ই শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
2) হোম পেজ খোলার পর Register e-shram এ ক্লিক করে register করতে হবে।
3) E Shram Card Registration করার জন্য Self Registar পেজ খুলবে সেখানে আপনাকে আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর ও ক্যাপচা কোড দিতে হবে।

4) এরপরে নিচে লেখা থাকবে আপনি EPFO, ESIC এ সক্রিয় সদস্য কিনা।
5) এর উত্তর Yes আর No এর মধ্যে একটি দিতে হবে।
6) এরপর সেন্ড OTP এর বাটানে ক্লিক করতে হবে।
7) মোবাইলে OTP যাওয়ার পর সেই OTP সেখানে লিখে Validate এ ক্লিক করতে হবে।

8) এর পরে যে পেজ খুলে যাবে সেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে।
9) এরপরে স্কিলের নাম, ব্যবসার ধরন, কাজের ধরন সিলেক্ট করুন।
10) ব্যাংকের ডিটেইলস লিখুন, আর Self Decleration সিলেক্ট করুন।
11) এরপরে ডিটেইলস জমা দেওয়ার জন্যে Preview অপশনে ক্লিক করুন এবং Submit এ ক্লিক করুন। এই একই পদ্ধতিতে আপনারা এই কার্ড আপডেটও করে নিতে পারবেন (e-shram card online apply).

ই শ্রম কার্ড ডাউনলোড

মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। OTP লিখুন এবং ‘Verify‘ বাটনে ক্লিক করুন। তারপর ই শ্রম কার্ড তৈরি হবে এবং স্ক্রিনে দেখা যাবে। ডাউনলোড (E Shram Card Download) অপশনে ক্লিক করে আপনি ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে বাড়িতে বসে E Shram Card এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন। আবার যাদের আধার কার্ড এর সাথে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক নেই তাদের CSC সেন্টার গিয়ে বায়োমেট্রিক দিয়ে এই কার্ড তৈরি করতে হবে।

Ration Card Correction (রেশন কার্ডে ভুল সংশোধন)

ই শ্রম কার্ডে ডকুমেন্ট কি কি লাগবে

এই কার্ড তৈরি করতে লাগবে আধার কার্ড, ব্যাংকের নথি, আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক মোবাইল নম্বর আর যদি আধার কার্ড এর সাথে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক (Aadhaar Mobile Link for E Shram Card Check) করা না থাকে তাহলে CSC সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে ই শ্রম কার্ড এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন। তাহলে আরও কিছু তথ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যোগ্যশ্রী প্রকল্প কি ও কাদের জন্য? কি সুবিধা পাবেন? আবেদন পদ্ধতি দেখুন

ই শ্রম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা

E Shram Card এর বর্তমানে কোন ধরণের অসুবিধা সম্পর্কে জানা যায়নি। কারণ এই কার্ডটি দেশের সকল মানুষদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। তাই একটি কোথা ভালো মতোই বোঝা যাচ্ছে যে এই কার্ডের কোন ধরণের অসুবিধা থাকতেই পারে না। খালি সুবিধাই সুবিধা। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Ananya Chakraborty.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *