প্রকল্প

WB govt scheme list – পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের তালিকা, কে কোনটির সুবিধা পাবেন এক নজরে দেখুন।

WB govt scheme list এর কোনো স্কিমে আপনার নাম বাদ গেছে কিনা দেখে নিন। আর কোন স্কিমটি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগলো তা জানাবেন। দেশের প্রতিটি নাগরিক সম্মিলিত হলে দেশের কাঠামো তৈরি হয়। আর এই কাঠামো মজবুত না হলে দেশ কখনোই উন্নত হবে না। তাই কেন্দ্রীয় এবং প্রতিটি রাজ্যের সরকার সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। তেমনই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের সাহায্যর্থে কোন কোন প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। তাতে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে? কারা তাতে আবেদনযোগ্য? আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে WB govt scheme list বিস্তারিতভাবে জানানো হচ্ছে।

WB govt scheme list দেখে নিন।

১) সবুজ সাথী স্কিম-
WB govt scheme list এর এই স্কিমটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চালু করেছিল। রাজ্যের সকল সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের অধ্যয়নরত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা এই স্কিমের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই শ্রেণীগুলির ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ করা হয়।যাতে তাদের বাসস্থান থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দূরত্ব অধিক হলেও স্কুলে আসতে অসুবিধে না হয়।

২) কন্যাশ্রী প্রকল্প-
২০১৩ সালের ৮ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্পটি চালু করেছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী কন্যা সন্তানেরা আর্থিক সুবিধা পাবেন। তবে আবেদনকারীদের সরকার স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবিবাহিত পড়ুয়া হতে হবে। উল্লেখ্য, আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ১.২ লক্ষের কম হতে হবে।

রাজ্যের কৃষকেরা পাবেন বার্ষিক 12 হাজার টাকার সুবিধা, কিভাবে আবেদন জানাতে হবে?

৩) উৎকর্ষ বাংলা-
২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি WB govt scheme list এ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এই যোজনাটির নাম যুক্ত করা হয়েছিল। বিশেষত রাজ্যের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান বা মজুরি সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ প্রদান। আরো স্পষ্টভাবে বলা যায়, কারিগরি প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী, সেই সকল বাসিন্দাদের কাজে দক্ষ করে তুলতেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।

৪) কর্ম সাথী প্রকল্প-
২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই যোজনাটি চালু করা হয়েছিল। রাজ্যের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। তাছাড়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে কেবল কর্মের সন্ধান দেওয়া হবে তা নয়, পাশাপাশি নিজে যাতে নিজ ইচ্ছায় কাজ করতে পারেন, তার জন্য ২ লাখ টাকা ঋণও প্রদান করা হয়ে থাকে।

৫) কর্মতীর্থ-
রাজ্য সরকারের এই নয়া নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সকল ধরনের বেকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আবেদনকারী নিজস্ব কোনো দোকান বা অফিস খুলতে চাইলে তার জন্য আর্থিক সাহায্যও প্রদান করা হয়ে থাকে।

৬) নির্মল বাংলা-
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর মাসে WB govt scheme list এ এই প্রকল্পের নাম যুক্ত হয়। রাজ্য সরকারের তরফে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে এই উদ্যোগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত। গ্রামের উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করার বিষয়টি অজানা নয়। তাই সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখেই মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের লক্ষ্য গ্রামীণ এলাকায় যেখানে শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই, সেখানে এই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা।

 চলতি মাসে রেশনের নিয়মে বদল, কার্ড পিছু কত কিলো চাল ও গম পাবেন কমলো না বাড়ল?

৭) আকাঙ্ক্ষা প্রকল্প-
রাজ্য সরকারী কর্মীদের নিজস্ব বাসস্থান তৈরির সুবিধার্থে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। যে সকল ব্যক্তি নিজস্ব বাড়ি বা ফ্ল্যাট নির্মাণের ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন, তা বিবেচনা করে, তাদের দেওয়া হবে এই সুবিধা। তারা নিজেরদের নাম এই WB govt scheme list এ যুক্ত করতে পারেন।

৮) গীতাঞ্জলি ও আমার ঠিকানা-
রাজ্যের যে সকল বাসিন্দাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, কিন্তু নিজ বাসস্থান তৈরির স্বপ্ন রয়েছে তাদের এই স্বপ্ন এই স্কিমের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। প্রথমে এই স্কিমের নাম ছিল ‘আমার ঠিকানা’। পরে ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল থেকে এই স্কিমের নাম বদলে রাখা হয় ‘গীতাঞ্জলী স্কিম’।

৯) আনন্দধারা প্রকল্প-
ভারত সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন বা NRLM চালু করেছে। রাজ্যে ২০১২ সালের ১৭ মে মাননীযয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এবং তত্বাবধানে NRLM, আনন্দধারা প্রকল্প হিসেবে চালু করা হয়েছিল। যার লক্ষ্য হল গ্রামীণ দরিদ্র দূর করা এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে তাদের স্বনির্ভর করা।

১০) মধুর স্নেহা-
২০১৩ সালে WB govt scheme list এ এই প্রকল্পের নাম যুক্ত হয়। যার মাধ্যমে SSKM হাসপাতালে পূর্ব ভারতের প্রথম এবং দেশের সবচেয়ে আধুনিক ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ চালু করা হয়েছে। মধুর স্নেহা প্রকল্পটি পাস্তুরাইজেশন এবং সবচেয়ে উন্নতপ্রক্রিয়ায় দুধ সংগ্রহ, স্ক্রীনিং, প্রক্রিয়াকরণ, পরীক্ষা এবং স্টোরেজ সুবিধার সাথে সম্পর্কিত। যেসকল শিশুরা সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করে থাকেন, কিংবা জন্মের সময় ওজন কম থাকে/যেসকল শিশুর মায়েরা সরাসরি দুধ খাওয়াতে অক্ষম তারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা পেয়ে থাকেন।

১১) লোকপ্রসার প্রকল্প-
রাজ্য সরকারের অনুপ্রেরণা এবং তত্বাবধানে তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ এই প্রকল্প চালু করেছিল। যার লক্ষ্য হল লোকশিল্পীদের পরিচয়পত্র প্রদানের মাধ্যমে তাদের মর্যাদা প্রদান করা, বিলুপ্ত প্রায় লোকশিল্প ও সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করা, লোকসংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভালো করা এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান।

১২) খাদ্যসাথী স্কিম-
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি এই স্কিমটি চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হ’ল অনগ্রসর শ্রেণী বা ফুটপাথের বাসিন্দা বা আইলা বা খরা ক্ষতিগ্রস্ত ইত্যাদির কবলে পরা সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। এছাড়া ‘খাদ্য সাথী’ প্রকল্পের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় বর্তমানে ৫ টি ক্যাটাগরীর ডিজিটাল রেশন কার্ডে পরিবারপিছু বা মাথা পিছু কত কিলো করে রেশন প্রত্যেক মাসে পাওয়া যাবে।

১৩) স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প-
২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারী প্রতিটি পরিবার ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাবে।
তাছাড়া প্রকল্পের অধীন নথিভুক্ত থাকা পরিবারের কোনো সদস্য জটিল রোগে আক্রান্ত হলে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার সুবিধা প্রদান করা হবে। তবে কোনও বেসরকারি স্বাস্থ্য বিমা করেছেন। সেই সমস্ত ব্যক্তি ‘স্বাস্থ্য সাথী’ কার্ডের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন না।

১৪) আমার ফসল আমার গোলা-
এই প্রকল্পটি ২০১৩ সালে WB govt scheme list এ এই প্রকল্পের নাম যুক্ত হয়। যেটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দফতরের অধীন একটি প্রকল্প এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিপণন দফতর এই প্রকল্পটি বাস্তবানে সহায়তা করে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য রাজ্যের কৃষকদের শস্য মজুত করে রাখতে সহায়তা করা। এই প্রকল্পের নথিভুক্ত আবেদনকারীদের ফসলের গোলা তৈরীর জন্য যথাক্রমে ৫,০০০ টাকা, ১২,০০০ টাকা, এবং ২৫,০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে।

এখন থেকে রেশন দোকানে চাল গম ছাড়াও মিলবে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী, কারা এই সুবিধা পাবেন দেখুন।

১৫) গতিধারা স্কিম-
এই প্রকল্প ২০১৫-২০১৬ সালে চালু করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে রাজ্যের ২০-৪৫ বছরের মধ্যে বেকার যুবক- যুবতীদের তাদের বাণিজ্যিক যানবাহন কেনার জন্য ঋন প্রদান করা হয়ে থাকে। WBTIDCL এই প্রকল্পে সাহায্য করে। যেখানে আবেদনকারীকে বাণিজ্যিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে, গাড়ির মূল্যের উপর ৩০% বা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ভর্তুকি হিসাবে প্রদান করা হয়।
WB govt scheme list সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *