রোজগার

পুরোনো কয়েন বিক্রি করতে চান? কিভাবে বাড়ানো হয় কয়েনের দাম, জেনে নিন।

পুরোনো কয়েন বিক্রি করে সহজেই লাখপতি হতে চান? তাও আবার কোনো পরিশ্রম ছাড়াই। তাহলে এই প্রতিবেদন পড়তে ভুলবেন না। ভবিষ্যতের জন্য একটা সুরক্ষিত জীবন সকলেই চান। সঙ্গে পরিবারের সদস্য এবং সন্তানের উচ্চশিক্ষা, এই নিয়েও ভেবে থাকেন। কিন্তু সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা, কাজের জন্য এতক্ষন সময় অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু জানেন কী এই কাজের জন্য লাগবে না কোনো পরিশ্রম। রাতারাতি একাউন্টে ঢুকবে লাখ লাখ টাকা। না এখানে লটারির পুরস্কারের সম্পর্কে জানানো হচ্ছে না। অনেকেই পুরোনো কয়েন বা নোট বিক্রির সম্পর্কে শুনেছেন। আজকে সেই সম্পর্কেই জানানো হবে।

পুরোনো কয়েন বিক্রি করবেন কোথায়?

সাধারণত, কোনো জিনিস পুরোনো হয়ে গেলে ফেলে দেওয়া হয়। তবে একটা প্রবাদ আছে না, পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। না এখানে চাল বা ভাতের কথা বলা না হলেও পুরোনো জিনিসের মূল্যবান কতটা সেই সম্পর্কে জানানো হয়েছে। আপনার কাছে ধরুন কোনো আমল বা বহু আগের কোনো কালের কয়েন বা নোট রয়েছে, তা বিক্রি করে রাতারাতি হতে পারেন লাখপতি। তবে আগে জানতে হবে কয়েন বা নোটের দাম কিভাবে বৃদ্ধি পায়? তারপর জানানো হবে কয়েন বৃত্তান্ত নিয়ে।

কয়েন বা নোটের মূল্য কিভাবে বৃদ্ধি পায়?
বর্তমানে পুরোনো কয়েন বা নোট বিক্রির অনেক অনলাইন ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলির মাধ্যমে পুরোনো কয়েন বা নোট কেনা বেচা হয়ে থাকে। অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা এই ধরণের কয়েন বা নোট শখের কারণে জমা করে থাকেন। তা কেনার জন্য উপযুক্ত দাম দিতেও রাজি থাকেন। ক্রেতা যেই কয়েন বা নোট চাইছেন, তা হুবহু সেলারের কাছে থাকলে এবং সেলার আরো দাম চাইলে প্রয়োজনে তা বাড়ানোও হয়ে থাকে।

যদিও সেটা সম্পূর্ণ ক্রেতা দেবেন কিনা, তার উপর নির্ভর করে। আর ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ীই কয়েনটি কিনা, তা জানা যায় কয়েনের আপলোড করা ছবি দেখে। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন কয়েনের স্পষ্ট ছবি তুলতে হবে। আপলোড করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় সেলারের কাছে চাহিদা অনুসারে কয়েন বা নোট রয়েছে, কিন্তু টাকা পাচ্ছেন না, সেই ক্ষেত্রে নানা ধরণের কারণ থাকতে পারে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল এটি। কিন্তু অনলাইনে কয়েন বা নোট কেনা বা বেচার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে।

৫০ পয়সার কয়েন বৃত্তান্ত-
সম্প্রতি পাওয়া তথ্য অনুসারে, আপনার কাছে যদি মাত্র ৫০ পয়সার কয়েন থাকে, পাবেন লাখ টাকা। তবে যে সে ৫০ পয়সার কয়েন নয়। ২০১১ সালের বিশেষ এক ধরনের কয়েন হতে হবে।
বিক্রির পদ্ধতি-
পুরোনো কয়েন বিক্রির অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল-OLX.
ওয়েবসাইট ওপেন করে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এই কয়েন বিক্রি করতে পারেন।
তার জন্য প্রথমে বিক্রেতা বা সেলার হিসেবে ওই ওয়েবসাইটে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এরপর ৫০ পয়সার একটি তালিকা দেখা যাবে। ঐখানে ক্লিক করে নিজের কাছে থাকা নির্দিষ্ট সালের ৫০ পয়সার কিছু স্পষ্ট ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। ক্রেতাদের কয়েনের ছবি দেখে কিনতে ইচ্ছা হলে তারা বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। সেক্ষেত্রে প্রোফাইল তৈরির সময় বৈধ ও সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিতে হবে।

মাত্র 50 পয়সা রাতারাতি বানাবে লাখপতি, কিভাবে বিক্রি করবেন?

ওয়েবসাইট লিংক-
https:// www.olx.in/
২ টাকার কয়েন বৃত্তান্ত-
RBI এর ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৭ ও ২০০০ সালে জারি করা ২ টাকার কয়েন বিক্রি করে পেতে পারেন লাখ টাকা। তবে ওই কয়েনের সামনের দিকে ভারতীয় পতাকা এবং পিছনের দিকে ভারতের মানচিত্র আঁকা থাকতে হবে।
বিক্রির পদ্ধতি-
পুরোনো কয়েন বিক্রির অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। তবে OLX, Indiamart, Coinbazar এর মতো ওয়েবসাইট ওপেন করেও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এই কয়েন বিক্রি করতে পারবেন।
তার জন্য প্রথমে বিক্রেতা বা সেলার হিসেবে ওই ওয়েবসাইটে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে।
ওয়েবসাইট লিংক-
Indiamart.com

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাথে আয় করুন বার্ষিক 7 লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সুবর্ণ সুযোগ।

কয়েন বিক্রি এবং কেনার সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে-
রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইনে RBI এর নামে পুরোনো কয়েন ও নোট কেনাবেচা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের কমিশন ও ফি দাবি করা হচ্ছে। RBI এর তরফে এও জানানো হয়েছে, অনলাইন বা অফলাইনে পুরনো নোট বা কয়েন কেনার জন্য কোনও ফি দাবি করে না রিজার্ভ ব্যাংক। তাই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করার কথা জানানো হয়েছে।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Written by Manika Basak.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *