ট্রেন্ডিং

Air Conditioner – পরিবার পিছু একটির বেশি এসি নয়, কড়া নিয়ম আনল কলকাতা পুরনিগম দেখুন কি।

তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। Air Conditioner ই সবচেয়ে বড় বন্ধু। বাইরে বের হলেই যেন সারা শরীরে লু বইছে। কাজের সূত্রে বাইরে বের হতেই হয়। কিন্তু অফিসে গিয়েই বা বাড়িতে ফিরেই এসি অন করে দেন, অনেকে। আজ প্রায় একটি পরিবারে একটির বেশি Air Conditioner রয়েছে। প্রায় প্রত্যেক রুমেই এসি লাগানো। দোকানে এসি কিনতে রীতিমতো ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যাদের পকেটে একটু টান রয়েছে, পুরোনো এসি রিপায়ার করেও ব্যবহার করছেন। কিন্তু এবার Air Conditioner ব্যবহারেও নয়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম। যাতে করে একটু অসুবিধার মুখে পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষকে।

Air Conditioner নিয়ে কি বলল পুরসভা?

বাড়ির আলাদা আলাদা ঘরে এই ব্যবহার, যাতে করে বিদ্যুৎ বিলের পেছনে অধিক টাকা খরচ হয়ে যায়। তাতে অবশ্য ভ্রূক্ষেপ করেন না অনেকেই। কিন্তু প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই যদি এতো সংখ্যক এসি চালানো হয়, এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে। আর সেই কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কলকাতা পুরনিগম।
কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে?
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কলকাতা পুর নিগমের তরফে এবার প্রচার শুরু হবে, যাতে পরিবার পিছু কেবলমাত্র ১টি করেই এসি ব্যবহার করা হয়। তাও মোট পরিবারের সংখ্যা হিসেব করলে এসি ব্যবহারের সংখ্যা নেহাতই কম নয়।

AC ছাড়াই ঘর ঠাণ্ডা রাখার 7 টি উপায় আর কষ্ট পেতে হবে না, জেনে নিন।

কেন এই সিদ্ধান্ত?
আগেই বলা হয়েছে, পরিবেশ রক্ষার্থে পুরনিগমের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। একটি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ৩ বছরে শহরে Air Conditioner ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ গুণ বেড়েছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। অনেকেই জানেন না, এতো সংখ্যক এসির ব্যবহারের ফলে বিশ্ব উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এসি থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়। যেগুলি হল হাইড্রোফ্লুরোকার্বন এবং ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, নাইট্রাস অক্সাইডের মতো গ্যাস। তাতে করে বায়ু দূষণ, জলবায়ু দূষণ ঘটে থাকে। Air Conditioner সাময়িকভাবে ঘর ঠান্ডা করে ঠিকই কিন্তু পরিবেশের জন্য বিপদজনক। তাই আগামীদিনে কলকাতা পুরনিগমের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

AC ব্যবহারের আগে ও পরে কোন কোন দিক বিশেষত খেয়াল রাখতে হবে?
১) সাইজ নির্বাচন করা-
ঘরের মাপ অনুসারে এসি এর সাইজ নির্বাচন করতে হবে। না হলে ঘর ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগবে। আর বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসবে।
২) ফিন ও কয়েল পরিষ্কার করা- দীর্ঘদিন ধরে এসির ফিন ও কয়েল পরিষ্কার করছেন না? এমন ভুল করবেন না। না হলে হাওয়া ঠিকঠাক আসবে না।
৩) এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করা- একইভাবে এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার না থাকলে ভাল করে হাওয়া পাস করবে না। ঘর ঠান্ডা হতে অনেক বেশি সময় লাগবে। বিদ্যুৎ বিলের খরচ বাড়বে।

আজ থেকে বাংলার আবহাওয়ার পরিবর্তন, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে? কোথায় কোথায় বৃষ্টি হবে?

৪) রিপায়ারিং এর সমস্যা- বারবার রিপায়ারিং করতে যা খরচ হবে, তাতে নতুন একটি এসি কেনা যাবে। তাই মাসিক খরচ বাঁচিয়ে চেষ্টা করতে হবে নতুন এসি কেনার।বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি এসি ১০ থেকে ১২ বছর পুরোনো হলেই সেটিকে বদলে ফেলা যাবে।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *