ট্রেন্ডিং

Driving Licence – বদলে গেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম, হয়রানি এড়াতে নতুন নিয়ম জেনে নিন।

গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন? বা বর্তমানে গাড়ি ব্যবহার করছেন? তাহলে অবশ্যই এই প্রতিবেদনটি পড়তে ভুলবেন না। গাড়ি চালানোর আগে ব্যক্তিকে Driving licence এর জন্য আবেদন জানাতে হয়। এই তথ্য ছাড়া চালানো যায় না। এবার এই নিয়মে পরিবর্তন আনা হল। চলতি বছরেই এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনেই নতুন রূপে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ও আরসি তৈরি করা হচ্ছে।

কেন নতুন রূপে Driving licence তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে?

আগামী মাস (এপ্রিল) থেকেই আবেদনকারীরা (গাড়ির মালিক ও চালকরা) এই ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা RC পাবেন। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, পরিবহণ দফতরের তরফে বার্ষিক ২০ লাখের বেশি Driving licence এবং RC ছা‌ড়া হয়ে থাকে।

এস এস সি দুর্নীতি মামলায় কাদের চাকরি থাকবে কাদের যাবে, জানালো আদালত।

বর্তমানে এই কার্ডে বিশেষ প্রযুক্তি না থাকার কারণে সেটি বিভিন্ন বাজে কাজে ব্যবহার করতেন অনেকে। কিংবা লাইসেন্সকে পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করে অসামাজিক কাজ করা হত। তাই বর্তমানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। তাছাড়া নয়া রূপে এই কার্ড হাতে পেলে গাড়ি চালক থেকে শুরু করে চেকিং এর দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদেরও সুবিধা হবে। কারণ অনেক সময় দেখা যায় সড়কে গাড়ি চলাচলের সময় Driving licence পেপার এবং RC এর বৈধতা নিয়ে পুলিশ ও গাড়ি চালকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়।

আশা করা হচ্ছে সেই সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডেকে একটি বেসরকারি সংস্থাকে কার্ড তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে সংস্থাটি MOU স্বাক্ষর করতে চলেছে। যদিও কার্ডটি তৈরির দায়িত্ব সংস্থার হাতে থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করবে পরিবহণ দফতরই। আর এই নতুন লাইসেন্স ও আরসি টি অনেকটা এটিএম কার্ডের মতো দেখতে হবে।

এই কার্ডে কোন কোন তথ্য লেখা থাকবে?
কার্ডে আবেদনকারীর নাম ও ফোন নম্বর সহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য ছাপা থাকবে। তাছাড়া QR কোড ও চিপযুক্ত এই কার্ডটি পরিবহণ দফতরের অনলাইন মোডে ভেরিফাই করা হলে তা সক্রিয় করা হবে।
আবেদন জানাতে কত টাকা খরচ হবে?
নতুন এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য কলকাতার বেলতলা মোটর ভেহিক্যালস অফিসে একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে।

অনলাইন মোড ব্যবহার করে আবেদনকারীদের কার্ড সম্পর্কিত তথ্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
কার্ড তৈরি সমস্ত খরচ আবেদনকারীদের দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আবেদনের সময় ২০০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, পরিবহণ কর্তাদের অবশ্য দাবি, এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্য সরকার বার্ষিক ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা আয় করতে সক্ষম হবে।

রাজ্যে বন্ধ হতে চলেছে ৮ হাজার স্কুল, চাকরি নিয়ে টানাটানি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের।

আবেদনকারীরা কিভাবে পরিবহণ দফতর পাঠানো হবে। এই কার্ডের জন্য আবেদন মঞ্জুর হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্ডটি গ্রাহকেরা হাতে পাবেন।
Driving licence সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *