স্কুলের প্রেয়ার লাইনে জাতীয় সঙ্গীত ঠিকমতো গাইতে না পারায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ।
জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারলেন না শিক্ষক, বেতন বন্ধের নির্দেশ।
আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিঃ স্কুলের প্রেয়ার লাইনে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) গাইতে পারলেন না, তাই বেতন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হল শিক্ষকের। ঘটনাটি বাংলাদেশের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সম্পূর্ণ জাতীয় সংগীত গাইতে না পারার দরুণ এক শিক্ষকের বেতন স্থগিত করার পাশাপাশি শিক্ষা কর্মকর্তাকে এর কারণ দর্শানোর (Show Cause) নির্দেশ দিয়েছেন সেখানকার জেলা প্রশাসক। গত মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে এসে এহেন নির্দেশ দেন।
ওই বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেন পরিদর্শনের সময় সম্পূর্ণ জাতীয় সংগীত (National Anthem) গাইতে পারেন নি। ওই শিক্ষক কেন জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারেন নি, সেই কারণ দেখাতে হবে শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনকে।
ঘটনার দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে যান।
বিদ্যালয় পরিদর্শন করার সময় তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রসঙ্গে খোঁজখবর নেন। এরই মাঝে বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেনকে তিনি জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন। কিন্তু শিক্ষক সম্পূর্ণ সংগীত গাইতে ব্যর্থ হন। ফলত, জেলা প্রশাসক অসন্তুষ্ট হয়ে ওই শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারছে, ততদিন পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বেতন স্থগিত থাকবে।
আকাশে মেঘ জমা শুরু, বৃষ্টি কবে হবে? আবহাওয়া দফতরের বিরাট আপডেট।
এরই সাথে, বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায়, তাঁকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলা প্রশাসক।
পরবর্তীতে, মো. আবুল হোসেন সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ডিসি যে বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসবেন, তা তিনি জানতেন না। তিনি আরও বলেন, ডিসি তো শোকজ করতেই পারেন!
এই প্রসঙ্গে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার ডিসি মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরিদর্শন কালে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারায় ওই বিদ্যালয়ের শরীর চর্চার শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেনের উপর রুষ্ট হয়ে তাঁর বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, প্রেয়ার লাইনে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনকেও অনুপস্থিত থাকার জন্য শোকজ করেছেন ডিসি।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি.