৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করুন এই ব্যবসা এবং প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা উপার্জন করুন
বর্তমানে ভারত যে টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে তার কারণে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই চাকরিপ্রার্থীরা রীতিমতো সংকটে পড়েছে। তাতেই ভারতীয় যুবসমাজ ব্যবসার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। যদিও ব্যবসাক্ষেত্রে ভারতের যুবক-যুবতীদের এগিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা রাজ্য সরকার নানা প্রকার প্রকল্প, যোজনা থেকে শুরু করে বিনা গ্যারান্টিতে লোনের ব্যবস্থা পর্যন্ত কার্যকরী করা হয়েছে। তবে ব্যবসা করার কথা ভাবলেই তো হলো না, কোন ব্যবসায় কেমন লাভ, কোন ব্যবসা থেকে সহজেই বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাবেন এবং যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে পারবেন, কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে কতো টাকা বিনিয়োগ করতে হয় এসমস্ত তথ্যগুলি জানা অত্যন্ত প্রয়োজন, নতুবা নিজস্ব ব্যবসায় চালু করার ক্ষেত্রে আপনাদের যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
আর তাই আজ আমরা সমস্ত যুবক-যুবতীদের খাতিরে এই পোস্টে এক নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি যেখানে মাত্র ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমেই আপনারা প্রতি মাসে যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এমনকী ব্যবসা চলতে শুরু করলে প্রত্যেক মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। আর সব থেকে বড়ো ব্যাপার হলো আপনি গ্রামে থাকুন কিংবা শহরে যেকোনো জায়গাতেই অত্যন্ত সহজে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
চলুন তবে এই ব্যবসাটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক:-
এই ব্যবসাটি শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হতে চলেছে আবর্জনা। আজ্ঞে হ্যাঁ, আবর্জনা। এই ব্যবসাটি শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে আপনার বাড়ি থেকে এমনকী আপনার বাড়ির আশেপাশের এলাকা থেকেও নানাপ্রকার আবর্জনা সংগ্রহ করতে হবে এবং তারপর সেইসমস্ত আবর্জনা থেকে বাড়ি সাজানোর জিনিস, গয়না সহ অন্যান্য বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করতে হবে। এরপর আপনি চাহিদা অনুসারে ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসাটিকে বাড়াতে পারবেন।
প্রকাশিত হলো ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার রেজাল্ট। লিস্টে আপনার নাম রয়েছে কিনা দেখে নিন।
আর যদি প্রথমেই একেবারে বড়ো আকারে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি যেকোন মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাছ থেকে কিছু টাকা দিয়ে বর্জ্য পদার্থ কিনে নিতে পারেন। এছাড়াও যদি আপনি বর্জ্য পদার্থ থেকে জিনিসপত্র তৈরি না করতে পারেন তবে এমন কোনো ব্যক্তির থেকে টাকার বিনিময়ে এই কাজগুলি করিয়ে নিতে হবে যিনি এসমস্ত কাজে দক্ষ। এরপর ওই জিনিসগুলিকে আপনি বিক্রি করে যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে পারবেন। পরবর্তীতে এরকম বেশ কিছু লোককে আপনার অধীনে রেখে আপনার ব্যবসাটিকে বাড়াতেও পারবেন।
কি কি জিনিস তৈরি করা যেতে পারে?
ফেলে দেওয়ার টায়ার থেকে খুব সহজেই বসার টুল তৈরি করা যেতে পারে এবং বিভিন্ন রঙে সেটিকে রং করে আকর্ষণীয় করে তোলা যেতে পারে। এছাড়াও কাপ, কেটলি, কাঠের কারুকার্য করা ঘর সাজাবার জিনিসপত্র, চশমা এমনকি চিরুনি পর্যন্ত তৈরি করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গয়না, ব্যাগ এবং পেইন্টিংও তৈরি করা যেতে পারে।
এই ব্যবসার ক্ষেত্রে কতো টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন?
আবর্জনা অথবা এই জাঙ্কের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনার ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ প্রয়োজন হতে পারে।
কতো টাকা লাভ হতে পারে এই ব্যবসায়?
বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন টনেরও বেশি আবর্জনা উৎপন্ন হয়ে থাকে। সেখানে শুধুমাত্র ভারতেই ২৭৭ মিলিয়ন টন বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়। সুতরাং, আবর্জনা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে কোনোরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। এরপর লোকসমাগম হয় এরকম কোনো জায়গায় আপনি আপনার নিজস্ব দোকান করে এই জিনিসপত্রগুলি বিক্রি করতে পারেন অথবা আপনার বাড়ির কাছে যদি যথেষ্ট লোকসমাগম হয়ে থাকে তবে আপনি আপনার বাড়িতেই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প মেলা থেকেও যথেষ্ট টাকা উপার্জন হতে পারে। আর আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে প্রচার এবং বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে অনলাইনে আবর্জনা থেকে তৈরি করা এই সমস্ত গয়না পেইন্টিং ঘর সাজানোর জিনিসপত্র সম্পর্কে প্রচার করতে পারেন তাহলে প্রত্যেক মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।