Caste Certificate – পশ্চিমবঙ্গের লাখ লাখ SC ST OBC কাস্ট সার্টিফিকেট বাতিল। আনা হল নতুন আইন।
সাবধান হয়ে যান! পশ্চিমবঙ্গে জাতির শংসাপত্র (Caste Certificate) নিয়ে জালিয়াতি রুখতে রাজ্য সরকার এখন উঠে পরে লেগেছে। কোথায় কোথায় জালিয়াতি হচ্ছে তা নিয়ে আলাদা করে আভিযান শুরু হতে চলেছে বাংলায়। আমরা সবাই জনি SC, ST, OBC এদের জন্য আলাদা কাস্ট সার্টিফিকেট হয়। তাতে এই সমস্ত সংরক্ষিত শ্রেণির নাগরিকেরা অনেক সুযোগ সুবিধা পায় যে কোনো ক্ষেত্রে। আবার এমন অনেকে আছে যারা এইসমস্ত সার্টিফিকেট ভুয়ো বানিয়ে সরকারি সুবিধা ভোগ করছে।
Caste Certificate Scam Exposed In West Bengal.
এইবার এই সমস্ত ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্রধারীদের (Caste Certificate) বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। সংরক্ষিত শ্রেণির আওতায় না থাকা সত্ত্বেও যারা ভুয়ো SC, ST ও OBC সার্টিফিকেট ব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে থাকেন এবার তাঁদের আর কেউ বাঁচাতে পারবে না। এবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেটধারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন।
মাঝে মধ্যে এই রকম দু একজন ধরা পরে শাস্তিও পায়। তবে এর আগে এত কড়াকড়ি ছিল না তবে এবার হতে চলেছে। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় হানাহানির খবর শিরোনামে উঠে এসেছিল সেটা কম বেশি আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আরেকটি বিষয়ও এবারে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়।
তা হল ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র (Caste Certificate) দেখিয়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া। এই ঘটনা মূলত গ্রাম পঞ্চায়েত ও কিছুটা পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে হয়েছে। CAST CERTIFICATE নিয়ে কারচুপি হলো কী করে? একটি পঞ্চায়েত আসন তপশিলি জাতি বা SC প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু জেনারেল কাস্টের কোনও ব্যক্তি ভুয়ো SC সার্টিফিকেট জমা দিয়ে প্রার্থী হয়ে গিয়েছে এমন ভুরি ভুরি ঘটনা ঘটেছে।
রাজনৈতিক দল, নির্দল উভয় ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটেছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভুয়ো জাতি সংশাপত্র (Caste Certificate In West Bengal) জমা দিয়ে প্রার্থী হওয়ার অজস্র অভিযোগ উঠে এসেছে।এই নিয়ে বেশ কিছু মামলাও দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই সমস্ত মামলায় অভিযোগের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট (Fake Caste Certificate) জমা দিয়ে প্রার্থী হওয়ার ঘটনায় রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি আধিকারিকের নামও জড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই এই ঘটনায় তিনজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তার নাম জড়িয়ে পড়ে। এরপর তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় আদালত (Calcutta High Court) বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal).
নবান্নের নির্দেশে ওই তিন সরকারি আধিকারিককে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) সমস্ত পঞ্চায়েত প্রার্থীদের জাতিগত শংসাপত্র আলাদা করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। গত 28শে আগস্টের মধ্যে প্রত্যেক মহকুমাশাসককে এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই রিপোর্ট জমা পড়ে গেছে।
এর পরই গত 5ই সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন যারা জালিয়াতি করে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের ওই নকল জাতিগত শংসাপত্র বাতিল করতে হবে।মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পরই এই নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ফলে প্রচুর ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র (Caste Certificate) বাতিল হতে চলেছে।
JIO New Offer – একদম নতুন JIO রিচার্জ প্ল্যান, ইন্টারনেট এর সঙ্গে Netflix একদম ফ্রি।
একটি সুত্রে থেকে জানা গেছে যে, এক ধাক্কায় হয়তো প্রায় হাজার দশেক ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র (Caste Certificate) বাতিল হতে পারে রাজ্যে। পাশাপাশি আইন অনুযায়ী বড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে ওই সমস্ত ব্যক্তিদের। তাই সবাই এবার সাবধান হয়ে যান। এবারে এই নিয়ে ঠিক কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হওয়া হবে সেই নিয়ে চিন্তায় সকলে।
Dearness Allowance – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর।