ব্যাবসা

Low Investment Business – গ্রাম থেকে শহর, স্বল্প পুঁজিতে দুর্দান্ত মুনাফা দেবে এই 3 টি ব্যবসা।

ব্যবসা করার স্বপ্নপূরণ করতে চান? কিন্তু পুঁজির কথা চিন্তা করে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছেন। আজকে Low Investment Business শুরু করা যাবে, এমন ব্যবসায়িক আইডিয়া প্রদান করা হবে, যা গ্রাম থেকে শহরের সাধারণ মানুষ শুরু করতে পারবেন। যদিও ব্যবসা করতে আগে ভালো অনেক পরিকল্পনার দরকার হয়। তবে এই ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে না খুব বেশি পরিকল্পনার। আর মাসের শেষে উপার্জনও হবে ভাবনার অধিক। ব্যবসার নাম? কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে হবে? চলুন জেনে নিই।

Low Investment Business শুরু করুন এখনই।

ব্যবসার নাম- নার্সারির ব্যবসা।
Low Investment Business এর প্রথম ব্যবসা এটি। বর্তমানে বহু মানুষের গাছপালা পরিচর্যার শখ থাকে। সেই কারণেই প্রতিদিন শত কাজ সামলেও এই কাজ করতে ভোলেন না। কাজের মাঝে একদিন ছুটি পেলে অনেকে আবার গাছের নার্সারিতে গিয়ে পছন্দমতো গাছও কিনে আনেন। তাই নার্সারির ব্যবসা করতে হলে আগে কিছু পরিকল্পনা করে নিতে হবে। ব্যবসা করতে কি কি জিনিস প্রয়োজন? সেই জিনিস কিনতে কত টাকা পুঁজি লাগবে? তা হিসেব করতে হবে।

ব্যবসা শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি-
Low Investment Business শুরু করতে গেলে কোন জিনিসগুলি ক্রেতার কাছে বেশি চাহিদা থাকতে পারে, তা আগে জানতে হবে। এক্ষেত্রে যদি নার্সারির ব্যবসা শুরু করতে হয়, তাহলে সমস্ত রকমের চারাগাছ সেখানে রাখতে হবে। যদিও জমি অনুসারে, নির্দিষ্ট পরিমান গাছ রাখা যাবে। তবে এই ব্যবসায় যত বড় জমি বা জায়গা থাকবে, ব্যবসার জন্য ততো ভালো। ক্রেতারা তাদের চাহিদামতো গাছের সম্ভার পাবেন। এগুলি বাদেও সুন্দর সুন্দর টব রাখতে হবে। আজকাল অধিকাংশ বাড়িতেই খোলা জমি জায়গা থাকে না। সেক্ষেত্রে টবেই নানা ধরণের গাছ লাগিয়ে থাকেন। তার সঙ্গে নার্সারিতে রাখতে হবে ভালো সার, মাটি, মাটির ভালো করে তৈরী করতে ছুরি, নিড়ানি, আগাছানাশক ইত্যাদি।

বেকার ছেলেমেয়েদের জন্য চমৎকার 2টি স্বল্প পুঁজির ব্যবসার আইডিয়া, নিজের পায়ে দাড়ানোর সুযোগ।

ব্যবসা শুরু করার আগে কোন কোন বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে?
Low Investment Business শুরু করতে গেলে অবশ্যই এই জিনিসের খেয়াল রাখবেন
১) জমির পরিসর বুঝে ব্যবসা করতে হবে।
২) ক্রেতার চাহিদার কথা মাথায় রেখে জিনিসের দাম ঠিক করতে হবে। অধিক দামে জিনিস কিনতে কেউই ইচ্ছুক থাকেন না। ফলে একবার ঠকে গেলে দ্বিতীয়বার সেখান থেকে নাও কিনতে পারেন।
৩) ক্রেতাকে গাছের পরিচর্যা করতে হয়, তা বোঝাতে হবে।

নার্সারির ব্যবসা শুরু করতে কি লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়?
যে কোনো জিনিস কেনার আগে অনেক ক্রেতাই দেখেন জিনিসের ওপর লাইসেন্স নম্বর দেওয়া রয়েছে কিনা। তাই যে কোন ব্যবসা করতে গেলেই লাইসেন্স করে নেওয়া ভালো। এতে করে ভবিষ্যতে কোনোরকম আইনি সমস্যা হলে, তা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে। তাই আগে থেকেই নার্সারির একটি যথোপযুক্ত নাম রেখে, লাইসেন্স করে নিতে হবে। এই Low Investment Business শুরু করতে পারেন।

এই Low Investment Business এর মুনাফা বাড়াতে কি করবেন?
১) ন্যায্য দামে জিনিস বিক্রি করতে হবে।
২) ক্রেতাদের ভালো ব্যবহার দিতে হবে, যাতে দ্বিতীয়বার ক্রেতারা সেখানে কেনার জন্য আসেন।
৩) জিনিসগুলি বিক্রির জন্য প্যাকেটের উপর নার্সারির নাম, ঠিকানা ইত্যাদি লেখা থাকতে হবে।
৪) অনলাইনে বিক্রির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যাবে।
৫) ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট টিমের মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার করা যাবে (যেমন আজকাল অনেক অনুষ্ঠান বাড়িতে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বাঁচানোর উদ্দেশ্যে অতিথিদের গাছের চারা দেওয়া হয়, সেগুলি সরবরাহের দায়িত্ব নেওয়া যাবে)।

দ্বিতীয় ব্যবসার নাম- ফটোগ্রাফি।
ছবি যেমন সত্য তুলে ধরে, তেমনই যে কোনো ঘটনা স্মৃতিচারণও করে থাকে, তাই কোথাও ঘুরতে গেলে বা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে ছবি তোলা হয়। তাই অনুষ্ঠানে ফোটো তোলার জন্য একজন ভালো ফটোগ্রাফারের চাহিদাও কম নয়। কোনো পড়ুয়াও এই কাজ প্যাশনের সঙ্গে করতে পারেন। পাশাপাশি রোজগার করতে পারেন টাকাও। আবার পড়াশোনাও চালাতে পারেন। কিন্তু এই Low Investment Business শুরুর ক্ষেত্রে প্রধান জিনিস কোনটি? এই উত্তর সকলেই জানেন। একটা ভালো মানের ক্যামেরা। না শুড় এটাই নয় ভালো লেন্স এবং ফটো তোলার এঙ্গেল জানতে হবে। একবার ফটো তুলে ক্রেতাদের খুশি করতে পারলেই, আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।

হ্যাঁ, প্রথম প্রথম এই ব্যবসা শুরু করতে হলে ক্রেতাদের কিছুটা ছাড় দিতে হবে। যেমন এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে (অন্নপ্রাশন, জন্মদিনে, বিয়েতে ) ভালো ভালো ছবি তুলে দিতে হবে। তার জন্য একজন ফটোগ্রাফারের নির্দিষ্ট রেটের তুলনায় কম টাকা নিতে হবে। ধীরে ধীরে ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়লে নিজের ব্যবসার পরিসর বাড়বে।

সামান্য টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা, কয়েক মাসেই পাবেন অবিশ্বাস্য প্রফিট, বিশদে জানুন।

Low Investment Business ফটোগ্রাফি শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস?
ভালো ক্যামেরা, লেন্স ইত্যাদি জিনিস।
ব্যবসার প্রচার কিভাবে করবেন?
বর্তমানে অনলাইনে সহজেই যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব। তাই ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নিজের তোলা ভালো ভালো ফটো সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে কিংবা নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে আপলোড করতে পারেন। মনে রাখবেন, এই ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুর করা সম্ভব। আর সেখানে গিয়ে ক্লায়েন্টদের থেকে মাস গেলে মোটা টাকাও অফার পেতে পারেন। রোজগার করতে পারবেন প্রচুর অর্থ।

তৃতীয় ব্যবসাটি হল মাছ চাষ।
কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। অর্থাৎ বাঙালি মাছ ছাড়া ভাত খাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না। তবে আজকাল কেবল হোক বাঙালিই নন, অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষও মাছ খেতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে এই ব্যবসা করলে প্রতি মাসে দারুন মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। তবে ব্যবসা শুরুর আগে এই বিষয়গুলি জানতে হবে। এর জন্য-

১) আশেপাশে কোনো পুকুর থাকলে সেখানে মাছ চাষ করা যাবে।
২) পুকুরে চাষের আগে দেখতে হবে মাটি এবং জল যদি আম্লিক কিনা। তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩) এমন মাছের পোনা নির্বাচন করতে হবে যেগুলি সহজে রোগে আক্রান্ত হয় না।
৪) পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পড়ে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।

পুকুরে কোন কোন মাছ চাষ করা যাবে?
রুই, কাতলা, গ্রাসকার্প, সিলভার কার্প, মৃগেল, কই, তেলাপিয়া, বাটা ইত্যাদি।
কিভাবে জোগাড় করবেন?
কোনো মাছের বড়ো মার্কেটে গিয়ে কিনে আনতে পারেন।
মাছের খাবার হিসেবে কি কি দেওয়া যাবে?
এক্ষেত্রে রাসায়নিক খাবার না দিয়ে জৈব খাবার দেওয়া যাবে। তাতে করে রোগে আক্রান্ত হবে না। জৈব খাবার হিসেবে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা থেকে তৈরি সার দেওয়া যাবে। এর জন্য বাড়িতে হাঁস-মুরগির পালন করা শ্রেয়। না হলে পশুখাদ্যের দোকান থেকে মাছের খাবার কিনতে পারবেন ।

কোনো মাছ পুকুরে মারা গেলে কি করতে নিতে হবে?
যদি চাষের সময় কোন মাছ মারা যায়, তাহলে সেটি কেন মারা গেল তা দেখতে হবে। প্রয়োজনে এই সমস্যা আটকাতে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট করতে হবে। মাছের কোনো রোগ হলে সঠিক পরামর্শদাতার পরামর্শ মতো ওষুধ জলে মেশাতে হবে। এছাড়া কিছু সাধারণ উদ্যোগ নিতে হবে, যেমন পুকুরে শ্যাওলা এবং কচুরিপানা না জন্মায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এই সমস্যা সমাধানের পর, মাছ চাষ করে সেগুলি জাল দিয়ে ধরে, মাছের সাইজ এবং বাজারের দাম অনুযায়ী বিক্রি করা যাবে।

পড়াশোনা বা সংসার চালানোর পাশাপাশি হাতখরচ চালানোর মত কয়েকটি পার্টটাইম কাজের হদিস।

এমনকি কোন বড় হোলসেল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছেও বিক্রি করা যাবে। আর Low Investment Business শুরুর দ্বিগুন টাকা ঘরে আসবে। বর্তমানে মাছ চাষের ব্যবসা করার আগে নির্দিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের তরফে ট্রেনিং প্রদান করা হয়। আর ট্রেনিং শেষে দেওয়া হয় টাকাও। প্রয়োজনে সেগুলির সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে।
Low Investment Business সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *